Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪,

শহীদ মোহাম্মদ নুরউদ্দিনের কবর অবহেলিত 

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 

সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ০৭:২০ এএম


শহীদ মোহাম্মদ নুরউদ্দিনের কবর অবহেলিত 

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ৯নং ময়েনপুর ইউনিয়নের ময়েনপুর গ্রামের ফুলচৌকি গ্রামে জরাজীর্ণ অবস্হায় পড়ে আছে, বৃটিশ বিরোধী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কৃষক বিদ্রোহের নেতা, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামছুল হকের, নুরলদীনের সারাজীবন, কাব্যনাট্যের বীর শহীদ মোহাম্মাদ নুরউদ্দীন বাকের জং।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ১০ শতাংশ জায়গা জুড়ে লালমাটির বন-জঙ্গলের ঝোপে জরাজীর্ণ অবস্হা আর অবহেলায় পড়ে আছে এ শহিদের কবরস্হান ও মসজিদ। 

রংপুর প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর ও ইতিহাস থেকে জানা যায়, শহীদ মোহাম্মদ নূরউদ্দিন বাকের জং ছিলেন দিল্লির দ্বিতীয় সম্রাট শাহ আলমের আপন চাচাত ভাই ও ভগ্নিপতি। ইংরেজ শাষণ উৎখাতে তিনি ১৭৬০ থেকে ১৭৬৩ সালের খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত অসংখ্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। জমিদারি দখলের লোভে দিবা ও নিশি নামে দুইজন বিশ্বাস ঘাতকের ষড়যন্ত্রে, বর্তমানে লালমনিরহাটের আদিতমারী মোঘলহাটে বৃটিশ সৈন্যদের অতর্কিত আক্রমণে গুরুত্বর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে তার নির্মাণাধীন রাজধানী ফুলচৌকিতে আনা হয়। ১৭৮৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আহত হন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ফুলচৌকিস্হ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। প্রতিশোধ পরায়ন শাষকগুষ্ঠি তাকে ফুলচৌকির জামে মসজিদের মূল গেইটে কবরস্থ করতে বাধ্য করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা আমার সংবাদকে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান তাকে এই বিষয়টি জানালে তিনি এই সংগ্রামীর কবর ও মসজিদ দেখতে গত শনিবার গিয়েছিলেন। রংপুর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে তিনি স্মারকলিপি দিয়েছেন। 

ময়েনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃমাহবুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি আমার সংবাদকে বলেন, প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের সম্পদ হওয়ায় তিনি কোন কাজ করতে পারছেন না। তিনি বিষয়টি ইউএনও মহাদ্বয়কে জানিয়েছেন। মাসিক মিটিংয়ে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। জরুরি সংস্কার কাজ করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আমারসংবাদ/কেএস