Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

মির্জাগঞ্জে নৌকা প্রতীক পেতে জোরপূর্বক রেজুলিউশনে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ

কামরুজ্জামান বাঁধন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ১০:৫৫ এএম


মির্জাগঞ্জে নৌকা প্রতীক পেতে জোরপূর্বক রেজুলিউশনে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলু ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার আশায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকদেরকে দাওয়াত (নৈশভোজ) খেতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে রেজুলিউশন খাতায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

গঠণতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম মোল্লা।

অভিযোগে জানা যায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী কাজী মিজানুর রহমান লাভলু। 

তিনি গত ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের নিউমার্কেট এলাকায় সভাপতি’র জামাতা মোঃ কামরুল হাসান সজীবের বাসায় মাধবখালী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকদের নিয়ে নৈশ ভোজের আয়োজন করেন। 

এরমধ্যে ৯টি ওয়ার্ড কমিটির মধ্যে ৮ জন সভাপতি ও ৭ জন সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। জামাতার বাসায় নিয়ে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১নং মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলু রেজুলিউশন বহিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক আঃ হালিম মোল্লা লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের নিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে গোপন ভোটে নির্বাচিত প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। তাই কাউন্সিলে জয়ী হতে না পারার ভয়ে ইউনিয়ন সভাপতি গঠণতন্ত্র বিরোধী এ কাজ করেছেন। 

এ ইউনিয়নে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির সদস্যদের নিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচনের দাবি করেন তারা। ইউনিয়ন সভাপতি’র জামাতা একজন উচ্ছৃংখল প্রকৃতির লোক। সম্প্রতি চৈতা বাজারে এসে ইউপি নির্বাচনের আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মালেকের দুই সমর্থককে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সম্পাদকদের নিয়ে বসতেই পারি। তারাও চাইলে সকলকে নিয়ে বসতে পারে, তাতে আমার কোন আপত্তি নাই। আমি তাদেরকে দাওয়াত দেইনি, তারা ১৮জন সভাপতি-সম্পাদক একত্রিত হয়ে বসে আমাকে ফোন করার পরে আমি তাদের সাথে মিলিত হয়ে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। এটা গঠণতন্ত্র বিরোধী কোন কার্যক্রম নয়। আমার বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করছে। 

উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গাজী আত্হার উদ্দীন আহম্মদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বুঝে শুনে তারপরে আমি পদক্ষেপ নিবো।

আমারসংবাদ/এআই