সিলেট প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ১১:৪০ এএম
সংঘাত ছাড়াই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টায় এ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
একযোগে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে থাকে। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
শুরুতে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকলেও দুপুরের দিকে কিছুটা উত্তাপ ছড়ায়। এসময় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জের ৭টি কেন্দ্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দখল করে নিয়েছেন। পিটাইটিকর, কাসিম আলী স্কুল ও চন্ডিবাজারসহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলো থেকে লাঙ্গলের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। কোন কোন কেন্দ্রে লাঙ্গলের ভোটারদের জোরপূর্বক নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ শফি আহমেদ চৌধুরীর অভিযোগ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ এখনো মানুষ ইভিএমে ভোট দিতে অভ্যস্ত নয়।
শনিবার দুপুরে দাউদিয়া গৌছ উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তবে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ভোটারদের মধ্যে যে উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা যাচ্ছে তাতে নৌকার বিশাল বিজয় হবে বলে মনে করছেন তিনি।
এদিন সকালে দক্ষিণ সুরমার কামাল বাজার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে ভোট সুষ্ঠু করতে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে। একইসাথে ২১টি ইউনিয়নে একজন করে এবং মনিটরিংয়ে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।
এছাড়াও প্রত্যক ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দ্বায়িত্ব পালন করেছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় করছেন চার প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সাংসদ শফি আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসেন মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৪৯টি। এবার সব কেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ এ আসনের সরকারদলীয় সাবেক এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আমারসংবাদ/এআই