Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

মণিরামপুরে অর্জিত হয়নি বোরো ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি 

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১, ০৭:৪৫ এএম


মণিরামপুরে অর্জিত হয়নি বোরো ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

যশোরের মণিরামপুরে সরকারি খাদ্য গুদামে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। খাদ্যগুদামে ধানের মূল্যের চেয়ে এখানকার হাটবাজারগুলোতে ধানের দাম কিছুটা বেশি। ফলে খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে জনিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

উপজেলা খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মণিরামপুরে কার্ডধারী কৃষকদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন ধান ও ১ হাজার ৮০ টন চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেইলক্ষে ধানের মণ ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪০ টাকা এবং চালের কেজি নির্ধারণ ছিল ৪০ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে ১৯৫ টন ৪৪০ কেজি এবং চাল সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ১৯ টন। চালের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্জিত হলেও বিপত্তি ঘটেছে ধানের বেলায়। ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে মাত্র ৫.৫৮ ভাগ। গত ৬ মে থেকে এই অঞ্চলে বোরো সংগ্রহ শুরু হয়। প্রথমধাপে সংগ্রহের জন্য ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত সময় বেধে দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কাঙ্খিত সংগ্রহ না হওয়ায় ১৫ দিন বাড়িয়ে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। তাতেও কৃষকের সাড়া পড়েনি। মণিরামপুরে চলতি মৌসুমে ২৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। 
যারমধ্যে মাত্র ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে মোটা ধান। সরকারের দামের চেয়ে খোলাবাজারে ধানের দাম চড়া, মণিরামপুর অঞ্চলে মোটা ধানের চাষ না হওয়া, গুদামে কৃষক হয়রানি, উন্মুক্ত করে না দিয়ে কার্ডধারী কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়, মূলত এই চার কারণে গত দুই বছর  আমন ও বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। শুধুমাত্র বাইরে দাম চড়া পাওয়ায় এ বারই গুদামে সবচেয়ে কম ধান দিয়েছেন কৃষকেরা।

মণিরামপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম শিকদার বলেন, ৬ মে থেকে বোরো ধান চাল সংগ্রহ শুরু হয়ে দুইধাপে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ক্রয় কাজ চলেছে। প্রথমধাপে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৫টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। বর্ধিত সময়ে কোন কৃষক ধান দেননি।

মণিরামপুরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, আমরা যে দাম দিচ্ছি খোলা বাজারে কৃষক আরও বেশি দাম পাচ্ছেন। তাছাড়া গুদামে ধান আনতে কৃষককে পরিবহন খরচ ও বাড়তি সময় দিতে হচ্ছে। আমরা একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে বসেছি। চেয়ারম্যানরা নানাভাবে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। কৃষি অফিস কৃষকদের প্রনোদনা দিয়েছেন। তার বুনিয়াদে ১৯৫ টন ধান পেয়েছি।

আমারসংবাদ/কেএস