Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

মির্জাগঞ্জে বিদ্যালয়ের মাঠ জুড়ে পানি ও কচুরিপানা

কামরুজ্জামান বাঁধন, মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১, ১১:১৫ এএম


মির্জাগঞ্জে বিদ্যালয়ের মাঠ জুড়ে পানি ও কচুরিপানা

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ১২৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মাঠ জুড়ে রয়েছে পানি ও কচুরিপানা। 

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের সময় মাঠ থেকে মাটি কেটে ভবনের ভিটি উচুঁ করার ফলে সৃষ্ট গর্ত থেকে স্কুল মাঠে এখন কচুরিপানায় ভরে গেছে। খেলার মাঠের পুরোটাই দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। আর মাঠ জুরে জমে থাকা পানিতে জন্ম নিয়েছে কচুরিপানা। পানি আর কচুরিপানায় বিদ্যালয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের আলাদা কোন মাঠ না থাকায় খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত ওই বিদ্যালয়ের কয়েক’শ শিক্ষার্থী। করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিদ্যালয় খোলার পরে এতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পশ্চিম পাশের অংশ বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এবং পূর্ব দিকের অংশ বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এরমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশই পানিতে ডুবে আছে। মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জন্ম নিয়েছে কচুরিপানা ও বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস। দেখতে মনে হয় স্কুল মাঠ না যেন গরু,ছাগল ও মহিষের খড়ের ক্ষেত।

বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজিতা গ্রামের বাসিন্দা ও অভিভাবক কামাল হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের সামনে মাঠের জমি আছে। কিন্তু মাটি ভরাট করে উচুঁ না করায় মাঠ কোন কাজে আসছে না। স্থানীয় লোকজন মাঠ থেকে প্রতিদিন ঘাস কেটে নিয়ে যায়। বিদ্যালয় মাঠে জমে থাকা পানি নিস্কাশন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবী জানান।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিব জানায়, এমন স্কুলে লেখাপড়া করি যেখানে খেলার মাঠ নেই। অবসর সময়ে খেলাধুলা করতে পারি না।

বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.বাবুল হোসেন বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে গত বছর হাইস্কুলের অংশ বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। মাঠের চারপাশে নিচু জমি। ভারীবর্ষণে বালু বিভিন্ন স্থানে নেমে গেছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মাঠটি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.রেজাউল করিম বলেন, এই বিদ্যালয়ে আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ের মাঠের দুরাবস্থা। মাঠ ভরাটের বরাদ্দের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অবশ্যই মাঠটি ভরাট করা হবে। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে.এম.নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ফেলে ভরাট করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করা হবে। 

আমারসংবাদ/এআই