Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

পাটগ্রামে সরকারি নার্সারীতে অনিয়মের অভিযোগ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ১১:২৫ এএম


পাটগ্রামে সরকারি নার্সারীতে অনিয়মের অভিযোগ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের সরকারি নার্সারীতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

নানা ধরণের অভিযোগ এনে উপজেলার ১৪টি নার্সারীর মালিক ও সমবায় সমিতির সদস্যরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সরকারি এ নার্সারীতে গাছের চারা ক্রয় করতে এসে হয়রানির শিকার ও বেশি দামে গাছের চারা কিনতে হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।      

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলায় একটি বনায়ন নার্সারী রয়েছে। উপজেলার বনায়ন বিভাগের ফরেস্টার আব্দুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বনায়ন নার্সারীর কার্যালয়টির দু'টি কক্ষে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বাসা-বাড়ির মত ব্যবহার করেছেন। অপর একটি কক্ষে গরু পালন করছেন তিনি। এতে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। সরকারি নিয়ম না মেনে বাহিরে (অন্য জায়গা) থেকে চারা কিনে এনে বেশি দামে বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিটি মেহগনি গাছের চারা ৩০ টাকা, আম ১৩০, সুপারি ৬০ ও মাল্টা ১০০ টাকা দরে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন আব্দুর রহমান বলে অভিযোগ তোলেন। এতে উপজেলার নার্সারী মালিকগণ ক্ষতির মুখে পড়ছেন। 

গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার বনায়ন বিভাগের ফরেস্টার আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ তোলেন নার্সারির মালিকেরা। পাটগ্রাম উপজেলা বনায়ন নার্সারিতে একজন ফরেস্টার ও একজন মালি রয়েছে। সরকারি এ নার্সারীটিতে গাছের চারা সমূহের প্রয়োজনীয় যত্ন না নেয়ায় কাঙ্খিত গাছের চারা উঠছে না। ফলে অন্য জায়গা থেকে গাছের চারা এনে বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সরকারের বনায়ন কার্যক্রম ভেস্তে যেতে চলেছে। 

উপজেলার রহমানপুর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন (৫০) বলেন, বনবিভাগের সরকারি ওই নার্সারীতে সুপারী গাছের চারা নিতে গেলে ফরেস্টার ৮০ টাকার কম দিবে না বলে জানায়। পরে আর কিনে নেইনি।

পাটগ্রাম উপজেলার আজিমুল নার্সারীর মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নার্সারীতে অনিয়ম করে গাছের চারা বিক্রি ও সরকারি অফিস বাড়ি বানিয়েছে- এজন্য উপজেলার নার্সারীর মালিকরা অভিযোগ দিয়েছি।

ফরেস্টার আব্দুর রহমান বলেন, দুধ খাওয়ার জন্য একটা গরু তো পালায় যায়। অভিযোগ দেওয়ার কারণে বিক্রি করে দিয়েছি। 

কার্যালয়ে থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ওটা কৃষি বিভাগের অফিস। আমাদের নয়। পরিত্যক্ত বিল্ডিং, ফাটল ধরেছে। বৃষ্টির পানিতে ফাইল পত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা অফিস ও নার্সারীর জায়গার জন্য চাহিদা পাঠিয়েছি। বেশি দামে গাছের চারা বিক্রির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সরকারি দরেই চারা বিক্রি করা হয়।  

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুর রহমান বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ- খবর নিয়ে দেখব।

আমারসংবাদ/কেএস