Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

‘শাহাদাতকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল’

ধামরাই প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০৬:১০ এএম


‘শাহাদাতকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল’

ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দুই দিন আগে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা সেই ওয়াল্টন কর্মচারী শাহাদাত হোসেনের (২৪) মৃত্যুর রহস্যের জট খুলেছে। 

বুধবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, শাহাদাত হোসেন আত্মহত্যা করেননি, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। 

এ ঘটনায় পুলিশ প্রকৃত আসামি শনাক্তের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। তবে হত্যার পেছনে বিয়ে এবং প্রেমঘটিত কারণ রয়েছে বলে নিহতের পরিবার ধারণা করছে।

শাহাদাত হোসেন ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল গ্রামের কোহিনুর ইসলামের ছেলে। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার বারইপাড়া ওয়ালটন কারখানার কর্মচারী ছিলেন।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কলমাইত গ্রামে শাহাদাতের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বিয়ের ১১ দিন আগেই কালিয়াকৈরে তার কর্মস্থলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন শাহাদাত। 

এরপর ৮ আগস্ট কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে শাহাদাতের পরিবার। পরে বিয়ের দুই দিন আগে ১২ আগস্ট আমরাইল গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটায় গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শাহাদাতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় শাহাদাতের বাবা ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলেও পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করে। প্রায় দেড় মাস পর গতকাল বুধবার শাহাদাতের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায় ধামরাই থানা পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ সেকেন্দার আলী জানান, শাহাদাত হত্যার আসামি শনাক্ত ও ধরার চেষ্টা চলছে।

আমারসংবাদ/এআই