Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সড়কে খানাখন্দ, যাতায়াতে ভোগান্তি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ১০:৫০ এএম


সড়কে খানাখন্দ, যাতায়াতে ভোগান্তি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক পেকুয়া বাজার- আরব শাহ বাজার সড়ক। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে শত শত যাত্রীবাহী ছোট ছোট পরিবহণ ও মালবাহী পরিবহণে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাদামাটিসহ ছোট-বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষের। ওই সব গর্তের উপর দিয়ে অটোরিকশা, ইজিবাইক, মালবাহী গাড়ি, কিংবা যাত্রীবাহী ছোট ছোট যানবাহন উল্টে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার মতো ঘটনাও ঘটছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর গর্তে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কটি কোথাও কোথাও দুই-তিন ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সড়কটিতে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদায় একাকার  হয়ে গেছে। এমতাবস্তায় ওই জলাবদ্ধতার পানি ও কাদামাখা সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন। 

ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু বলেন, বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে যানবাহনে যাওয়া তো দূরের কথা, হেঁটে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে। এ সড়কটির দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর বলেন, পেকুয়া-আবর শাহ্ বাজার সড়ক দিয়ে যানবাহনে চলাচল দূরের কথা, হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষের দুর্ভোগ দেখে সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু করতে কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে অসংখ্যবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা বরাবরই অবহেলা করে যাচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কমল কান্তি পাল বলেন, এটি রাজাখালী যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। সড়কের পাশে ড্রেন, ৪টি ইউ ড্রেন, দেড় কিলোমিটার গাইড ওয়াল, ৬ কিলোমিটার কার্পেটিং সহ সাড়ে ৮ কিলোমিটার কাজের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বারদ্দ দেওয়া হয়েছে। কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আজম কন্সট্রাকশন আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব কাজ আমাদের বুঝিয়ে দেবেন। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল তারা কার্যাদেশ পান। কাজ চলমান আছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

আমারসংবাদ/কেএস