Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পড়ে আছে গুরুত্বহীনভাবে

একরামুল কবির ও বিএইচ সজল; খুলনা

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৭:৩৫ এএম


গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পড়ে আছে গুরুত্বহীনভাবে

জাহানাবাদ সেনানিবাস থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ও ফুলতলা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনা (এমসিএসকে)। খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলতলা পথের বাজার থেকে ১০ ফিট প্রস্থের স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী বাবু নারায়ন চন্দ্র চন্দ সড়ক ধরে চার কিলোমিটার ভেতরে গেলে এমসিএসকে’র প্রধান ফটক। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি গুরুত্বহীনভাবে পড়ে আছে বছরের পর বছর। পিচবিহীন, খানাখন্ড, উচু নিচুতে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি।

সড়কটির দু’পাশে ফুলতলা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন শিরোমণি ও দামোদর। দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচল ও নিত্য দিনের ভোগান্তি এই সড়ক। একটু বর্ষা হলেই কাঁদা পানিতে নিমজ্জিত থাকে দিনকে দিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওভার লোডের কারণে সড়কের এই বেহাল দশা। 

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে এলজিইডি সড়কটি নির্মাণ করে। এলজিইডি কতৃক উপজেলা এলাকায় যে সমস্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়, তার লোড ক্যাপাসিটি থাকে ৮ থেকে ১০টন। তবে স্থানীয়রা বলছে, প্রতিদিন ইট বোঝাই ট্রাক যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে। 

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, একটি ইটের ভাটা রয়েছে এই জনবসতি এলাকায়। এছাড়া সড়কের দুই পাশের জমির তুলনার সড়কটি নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নেই পানি অপসারণের সু-ব্যবস্থা। এরই মধ্যে সড়কটি পুনঃনির্মাণের প্রস্ততি চলছে। ইতোমধ্যে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। তবে স্থানীয়দের দাবী সেনাবাহিনীর তদারকিতে সড়কটি নির্মাণ করা হোক। তাহলে কাজে স্বচ্ছতা ও সড়কটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।

ফুলতলা উপজেলার এলজিইডি’র প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবু তারেক সাইফুল কামাল বলেন, সড়কটি খুব দ্রুতই নির্মাণ করা হবে। এ ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এসে ভিজিট করে গেছেন। আনুমানিক একটি খসড়া ব্যয় ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বাবু নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি শুনেছি। সড়কটি নির্মাণের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রæত সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সাধারণ মানুষের চলাচলে যে সমস্যা হচ্ছে এটি সত্যিই দুঃখজনক।

[media type="image" fid="144159" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

উল্লেখ্য, মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনা (এমসিএসকে) একটি সম্পূর্ণরূপে আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা সরাসরি যশোর আঞ্চলিক কমান্ডারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান যশোরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পাঠক্রম অনুসরণ করে। এটি একটি ইংরেজি মাধম্যের প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি ক্যাডেটকে শিক্ষা ও খেলাধুলায় নেতৃত্বের ও দক্ষতার সাথে গড়ে তোলার এটি কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রায় ৭শ’ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।

আমারসংবাদ/এআই