Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

নারী উদ্যোক্তা মোহেছেনা চৌধুরী মনির সফলতার গল্প

আল-আমিন, নীলফামারী

অক্টোবর ৩, ২০২১, ১১:৪৫ এএম


নারী উদ্যোক্তা মোহেছেনা চৌধুরী মনির সফলতার গল্প

মানুষের ইচ্ছে শক্তি হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। ইচ্ছের কাছে প্রতিনিয়ত পদানত হয় এ পৃথিবীরে অনেক কিছুই। এ ইচ্ছে শক্তিকে সঠিকভাবে চালিত করলে সাফল্য একদিন হাতের মুঠোয় আসবে। আজ না হয় কাল, কাল না হয় পরশু। 

আর নীলফামারী এমনই একটা পৌড়ে সাধারন নারী ইচ্ছে শক্তির ওপর দিব্যি হেঁটে-চলে অনায়েসে সাফল্য এনেছেন তাঁর স্বপ্নের বাগানে। মোহেছেনা চৌধুরী একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। স্বামী দুই সন্তান সৈকত ও প্রান্তিকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর।

জেলার ডোমার উপজেলা সোনারায় ইউনিয়নের ইনপোট ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ১৯৮৩ সালে। স্বামীর ব্যবসায় ২০০৯ সালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। 

তখন তিনি নীলফামারী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে হাতের কাজ শেখানোর জন্য ভর্তি হন। ভর্তি হয়েই কাজের প্রতি অনুপ্রানীতে হলেন মোহেছেনা চৌধুরী মনি। তাকেও কিছু একটা করতে হবে। কিছু করে স্বামীর সংসারে স্বামীর পাশে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু কি করবেন তিনি? কিছু করার মতো নেই কোনো প্রস্তুতি, নেই প্রশিক্ষণও। যেটুকু আছে তা হচ্ছে সেলাই- ফোড়াই, যা বিয়ের আগে মায়ের কাচে শিখে এসেছে। ওটুকুই সম্বল।

শেষমেষ কোনো কিছু চিন্ত না করে ঐ ওটুকু সম্বলকে আঁকড়ে ধরে ইচ্ছের ওপর চলতে শুরু করলেন তিনি। বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের কাপড় কিনে ওতে সূইঁ ও বিভিন্ন ধরনের রঙে-এর সূতো দিয়ে নিজ হাতে তৈরী শুরু করলেন বেডশীড, টেবিলশীট, সোফার কুশন, ফর্দা ও শাল সহ নানান টা শিল্প কর্ম করলেন ক্রুস ও কাশ্মিরী আদলে। 

সূক্ষতা ও রুচিবোধের কারনে তা অল্প দিনেই আশে-পাশে প্রচার পেয়ে গেলো। মানুষও দুই একটা করে কিনতে শুরু করলেন। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠলেন একজন সফল উদ্যোক্তা। 

বেড়ে যায় বেচা বিক্রির পরিধি। পরে কিছু নারী সংগ্রহ করে ঐ কাজে বসিয়ে দেন। আর এভাইে পার হয়ে যায় তার দীর্ঘ সাত বছর। এই কাজে মোহেছেনা চৌধুরী মনি নিজে যেমন হয়েছেন স্বাবলম্বি তেমনি কর্মসংস্থানের পথ দেখিয়েছেন আরো ৬০ জন নারীকে। এখন তিনি স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি কারখানা আর বড় একটি শো-রুমের।