Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা: রাতে কার্যকর হচ্ছে ২ আসামির ফাঁসি

অক্টোবর ৪, ২০২১, ০৯:৪০ এএম


দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা: রাতে কার্যকর হচ্ছে ২ আসামির ফাঁসি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হচ্ছে।  

সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টায় তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে আইনগত সব কাজ শেষ হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন– চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলী হিমের ছেলে মিন্টু ওরফে কালু (৫০) এবং একই এলাকার বদর ঘটকের ছেলে আজিজ ওরফে আজিজুল (৫০)।

চুয়াডাঙ্গা আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আলমডাঙ্গা থানার জোড়গাছা হাজিরপাড়া গ্রামের কমেলা খাতুন এবং তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের ধর্ষণ করা হয়। 

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুই নারীর গলা কাটা হয়। নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম হত্যার পরদিন আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত ওই দু’জনসহ চার জনকে আসামি করা হয়। অপর দু’জন হলো– একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান আসামি মহি।

২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত সুজন, আজিজ ও মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে খালাস দেন। গত ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করলে তাও নামঞ্জুর হয়। ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে কারা অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ৮ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি গ্রহণ করে।

আমারসংবাদ/এআই