Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

দীর্ঘ ৯ বছর পর বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটে চলবে জাহাজ 

বরিশাল প্রতিনিধি 

অক্টোবর ৪, ২০২১, ০১:৫৫ পিএম


দীর্ঘ ৯ বছর পর বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটে চলবে জাহাজ 

অবশেষে আগামী নভেম্বর মাস থেকে বরিশাল-চট্টগ্রাম নৌরুটে জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এদিন থেকে ৭৫০ আসনের যাত্রীবাহী দুটি জাহাজ দিয়ে এই রুটে সার্ভিস চালু করা হবে। ফলে চট্টগ্রাম থেকে ভোলা ও বরিশালে চলাচলকারী যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) চট্টগ্রাম-বরিশাল রুটে এমভি বার আউলিয়া ও এমভি তাজউদ্দীন নামের দুটি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১২ সালে এই নৌ-রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও নৌ-রুটটি চালু হলে চট্টগ্রামে বসবাস করা ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগের সমাপ্তি ঘটবে।

বিআইডব্লিউটিসি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম-বরিশাল রুটে দুটি জাহাজ চলাচল করবে। এর মধ্যে এমভি তাজউদ্দীন বর্তমানে চট্টগ্রাম-হাতিয়া রুটে চলাচল করছে। পুন:নির্মাণ শেষে চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এমভি বার আউলিয়া। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থ্রি এঙ্গেল ডকইয়ার্ড থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ভোলা ও বরিশালে সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক পথ ঘুরে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। চট্টগ্রাম থেকে বরিশালের যাত্রীরা বাস ও ট্রেনে চাঁদপুর যান। সেখান থেকে বাকি পথ যেতে হয় লঞ্চে। ভোলার যাত্রীরা চট্টগ্রাম থেকে বাসে লক্ষীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাট দিয়ে পাড়ি দেন নিজ জেলায়। ফলে এই রুটে চলাচল করতে গিয়ে সময় ও অর্থের অপচয় হয়। জাহাজ চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে অল্প খরচে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টার মধ্যে সরাসরি ভোলা ও বরিশাল যেতে পারবেন যাত্রীরা।

সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসি’র একটি যৌথ দল চট্টগ্রাম-বরিশাল নৌপথের সার্ভে করবে। এরপর সময় ও ভাড়া নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক অন্য কাজ শেষে আগামী নভেম্বর মাসেই জাহাজ চলাচল শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুইদিন চলাচল করবে এই জাহাজ। চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়া, নোয়াখালী ও ভোলার ইলিশাঘাট হয়ে বরিশাল নৌ-বন্দরে পৌঁছাবে জাহাজ। এ রুটে জাহাজ চলাচল শুরু করার পর চট্টগ্রাম ও বরিশালে পর্যটকের সমাগম বাড়বে বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। 

আমারসংবাদ/কেএস