Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩ সাংবাদিককে হুমকি, থানায় জিডি

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 

অক্টোবর ৮, ২০২১, ০৯:২৫ এএম


সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩ সাংবাদিককে হুমকি, থানায় জিডি

মিঠাপুকুরে একই বংশের এক ডজন ফেনসিডিল ব্যবসায়ী আর তাদের নেতৃত্বদানকারী রাজু মেম্বার ওরফে ডাইল রাজু। এমন একটি নিউজ স্হানীয় পত্রিকাসহ দৈনিক আমার সংবাদে প্রকাশ হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রাজু মেম্বার গং। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রথম খবর, দৈনিক দাবানল এবং আলোকিত মিঠাপুকুর নিউজে পর পর ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলে দৈনিক আমার সংবাদের মিঠাপুকুর প্রতিনিধি রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম), সম্রাট মাহমুদ ও কামরুজ্জামান মিলনকে হুমকি প্রদান করেন রাজু মেম্বার। রাতের আধাঁরে একাধিক বৈঠক করেন, সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্য। 

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানায় দুজনের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন কামরুজ্জামান মিলন,যাহার জি,ডি নং ৬৭২।

উল্লেখ্য, মিঠাপুকুর থানার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বৈরাগীগন্জ সংলগ্ন একই বংশের রাজু মেম্বারের নেতৃত্ব তার বড় ভাই রাজা মিয়া, রুমি বেগম, বোন রোকসানা, ভাগ্নে-ভাগ্নী রুবেল, দুলু, রফিক, নুরবানু, জামাই শাকিল, বেয়াইন মনজিলা, ভগ্নিপতি আমিন, ভাগ্নে বৌ নাজনীনসহ বিশাল মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। রাজু মেম্বার নিজে চূহড় স্কুলমাঠ বৈরাগীগন্জে শ্রমিক দিয়ে ফেনসিডিল বিক্রি করেন। তার নিজের ওয়ার্ডের জনগনকে মাদক ব্যবসা করবেন না এমন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কালো টাকা ব্যবহার করে মেম্বার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর হয়ে উঠেন মাদকের গডফাদার।

রাজু মেম্বারের ও তার বংশের মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ করতে গিয়ে ২০১৫ সালে দৈনিক যুগের আলোর স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক মশিউর রহমান উৎসকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, যাহাতে তার বোন রোকছেনা, ভাগ্নে রুবেল এবং তার স্ত্রী জহিরুন আক্তার জুঁইসহ ভাড়াতে খুনিরা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো। 
বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।মিঠাপুকুর থানার ৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শীর্ষ ২৬ মাদক কারবারির মধ্যে ১২ জনে এই বংশের,এবং তাদের মামলা সংখ্যা ৯২ টি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই সর্ববৃহৎ মাদক ব্যবসায়ী বংশ। রাজু মেম্বার গংরা সাংবাদিক উৎসকে হত্যা করে সাংবাদিক সমাজকে তাদের শক্তির জানান দিয়ে পূরো সাংবাদিক সমাজকে ঘুমিয়ে রাখে মূল্যত। অন্যদিকে রাজু মেম্বার কয়েকটি গাড়ি, বাড়ী এবং বিয়ে করেন চারটি, তার সব স্ত্রী মাদক ব্যবসায় সরাসরি জড়িত।

ভয়ে যখন এলাকার লোকজন চুপ তখন আধিপত্য বিস্তার করেন সমগ্র এলাকায়। আইনের সঙ্গে গড়ে তুলেন সখ্যতা। অদৃশ্য শক্তির কাছে চুপ হয়ে যায় প্রশাসন। উল্টো অনেক নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়েছেন রাজু মেম্বার।

এলাকাবাসী দাবি, রাজু মেম্বার গংদের নির্মুল করে মহিয়সি বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি কলঙ্কমুক্ত করা হউক।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আমার সংবাদকে জানান, তিনি নতুন এসেছেন, রাজু মেম্বারের খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

আমারসংবাদ/কেএস