Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

শরীয়তপুরে দূর্গা মন্ডপ গুলোতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি

রুপক চক্রবর্তী, শরীয়তপুর

অক্টোবর ৯, ২০২১, ০৯:৩৫ এএম


শরীয়তপুরে দূর্গা মন্ডপ গুলোতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি

শারদীয় দূর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচাইতে বড় উৎসব। গত ৬ অক্টোবর বুধবার শুভ মহালয়ার মধ্যে দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা শুররু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠিতে বোধন পূজা ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শারদীয় দূর্গোৎসবকে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় সমগ্র শরীয়তপুর জেলায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি, সনাতন ধর্মাবলম্বী মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ এবং শেষ সময়ে কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে দিনরাত পার করছেন পূজার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা।

এ বছর শরীয়তপুর জেলায় ৬ উপজেলায় ৯৫টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দেবী দূর্গার অর্চনা। তারই ধারাবাহিকতায় শরীয়তপুর জেলার ৬ উপজেলার ৯৫টি পূজা মন্ডপে চলছে শারদীয় দুর্গা পুজার ব্যাপক প্রস্তুতি। মন্ডপ গুলোতে দিনরাত প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। ১১ অক্টোবর রোজ রোববার পুজা শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ বছরের জন্য ঘটবে দেবী দূর্গার পূজার সমাপ্তি।  

ইতোমধ্যে জেলার সকল মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা গড়ার প্রধান কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তে কারিগররা তাদের সুনিপুন হাতের ছোয়ায় আর রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমা সাজ গোছ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

এদিকে পূজা মন্ডপ গুলোর আয়োজক কমিটির সদস্যরা কোন কমিটির চাইতে কোন কমিটির পূজা সুন্দর হবে এই প্রতিযোগিতার সুপ্ত চিন্তা মাথায় রেখে নিজ নিজ পূজা মন্ডবে নতুন নতুন সাজসজ্জা সহ আধুনিক জিনিসপত্র ব্যবহারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। 

জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ গুলো ঘুরে দেখা যায়, সকল পূজা মন্ডবেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে হলোও রকমারী আলোকসজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো হচ্ছে পুজা মন্ডপ ও তার আশপাশের এলাকা। ডেকোরেশনের কর্মীরা দিন রাত পরিশ্রম করে বাশ খুটির ফ্রেম দাঁড় করিয়ে তাতে নানান রকম ডিজাইন আর বাহারী রং এর কাপড়ের মিশ্রনে সুদর্শন গেইট তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

জেলার বড় বড় সুনামধন্য পূজা মন্ডপ গুলোতে দেখা যাচ্ছে সোলার বিভিন্ন ধরনের সুনিপুন হাতের চোখ জুড়ানো কাজ। বিভিন্ন পূজা মন্ডব, তার  আশেপাশের এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে  টানানো হয়েছে পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন। 

এদিকে হাতে সময়ও বেশি নেই, পূজা শুরুর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তাই প্রতিমা, ডেকোরেশন,  আলোকসজ্জা, সাউন্ডসিস্টেম সহ যারা যারা পূজার আয়োজনে সম্পৃক্ত তারা সকলেই রাত-দিন চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। সব মিলিয়ে এক উৎসবের আমেজ বইছে শরীয়তপুর জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে।

জানা যায়, দুর্গাদেবী অসুর দমনের শুভ শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেন। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্যই দশহস্তে দেবী দূর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আগমন করেছিলেন। এরই ধারাহিকতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গুলো প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দূর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। 

অপরদিকে পরিবার পরিজনের জন্য কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে চারপাশে চলছে এখন উৎসবের আমেজ। 

জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের আয়োজকরা বলেন, মাতা দেবী দূর্গার শুভ আগমন উপলক্ষে আমাদের পূজা মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরি করা হয়,  বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জা করা হয়, আলোকসজ্জা করা হয়। এ কাজগুলো এখন সকল মন্ডবেই শেষ পর্যায়ে। দূর্গা পূজা আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী সবচাইতে বড় উৎসব তাই ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আমরা মায়ের পূজার আয়োজন করি। সরকার কর্তৃক করোনার কারনে পূজা বিষয়ে কিছু নির্দেশনা রয়েছে আমরা সে নির্দেশনা অনুসরণ করেই মায়ের পূজা সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী মাঝে এক আনন্দে জোয়ার বইছে। আমরা মায়ের নিকট প্রার্থণা তিনি যেন জাতী ধর্ম বর্ন নিঃবেশে সকলের মঙ্গল করেন। এই বিশ্ববাসীকে শান্তি দেয় এবং করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করে। 

আমারসংবাদ/কেএস