Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

চরফ্যাশনে স্কুলে ঢুকে শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর

চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিনিধি

অক্টোবর ৯, ২০২১, ০২:০৫ পিএম


চরফ্যাশনে স্কুলে ঢুকে শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর

চরফ্যাশনে ইভটিজিং’র প্রতিবাদ করায় স্কুলে ঢুকে ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া রিয়া বেগম(১০) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটে যুবক ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে। 

শনিবার স্কুল চলাকালীন সময়ে শশীভূষন থানা এলাকার ১৩নং উত্তর আইচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ওই শিশু শিক্ষার্থী স্কুল থেকে পালিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘটনাটি তার মাকে জানান। 

শিশুটির মা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে নালিশ জানাতে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই বখাটে যুবক ইকবাল হোসেন তাকে ও মারধর করে লাঞ্চিত করেন। মারধরের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী ভয়ে আতংকে অসুস্থ হয়ে পরেন। তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  
 
মারধরের শিকার শিক্ষার্থী রিয়া বেগম জানান, শনিবার স্কুল চলাকালে ক্লাশের ফাঁকে নাস্তার কেনার জন্য স্কুল সংলগ্ন দোকানে যাই। সেখানে আগে থেকেই ইকবাল হোসেন বসা ছিলো। আমাকে দেখে সে(ইকবাল) নানান অশ্লীল ভাষায় খারাপ মন্তব্য করে। আমি তাকে পাগল বলে স্কুলে ফিরে যাই। কিছুক্ষণ পরে ক্ষুব্ধ যুবক ইকবাল হোসেন স্কুল গিয়ে আমাকে ডেকে এনে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।

শিশুটির মা লাইজু বেগম জানান, মারধরের শিকার হয়ে ভয়ে আতংকগ্রস্ত মেয়ে স্কুলে থেকে বাড়ি ফিরে আসে । মেয়ের মুখে ঘটনাটি শুনে আমি প্রধান শিক্ষককে নালিশ জানানোর জন্য আমি স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। স্কুলের কাছাকাছি পৌঁছলে ইকবাল আমাকেও মারধর করে। মারধরে পরে আমি বিয়ষয়টি প্রধান শিক্ষকে জানিয়ে বাড়ি ফিরে আসি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম জানান, ওই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাটি আমাদের জানার বাহিরে ঘটেছে। ঘটনার পরপরই আক্রান্ত শিক্ষার্থী পালিয়ে বাড়িতে চলে গেলে তার সহপাঠীরা আমাকে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। পরে শিক্ষার্থী মা স্কুলে এসে তার মেয়েকে মারধরের বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি ঘটনাটি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে অবগত করেছি। 

অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন জানান, আমার বিরুদ্ধে অহেতুক একটি অভিযোগ তোলা হয়েছে। 

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই শিক্ষার্থীর মা তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি।  

সহকারী শিক্ষা অফিসার মো.শফিকুল ইসলাম জানান, বিকালে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঘটনাটি মুঠোফোনে জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমারসংবাদ/এআই