Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বরগুনা প্রতিনিধি

অক্টোবর ১০, ২০২১, ১০:২৫ এএম


আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বরগুনার আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নেতাকর্মী ও তাদের স্ত্রী পরিজন। 

শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার ও তাদের সমর্থকরা জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কুপিয়ে জখমের একটি মামলায় ষড়যন্ত্র করে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিক লীগের ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান। 

কারাগারে পাঠিয়েও ক্ষান্ত হননি মেয়র মতিয়ার রহমান। শুক্রবার বিকেলে কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আমতলীতে পোস্টার লাগানোর সময় তাদের কর্মী-সমর্থক ও স্ত্রী পরিজনকে লাঞ্ছিত করেছে মেয়র মতিয়ারের লোকজন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বরগুনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবু, কারাগারে থাকা আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমতলী বিআরডিবির চেয়ারম্যান এবং পৌর কাউন্সিলর জিএম মুসার স্ত্রী জেসিকা তারতিলা যুথি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জিএম হাসানের স্ত্রী ইসরাত জাহান রুলিয়াসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে জিএম মুসার স্ত্রী ও আমতলী পৌর যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেসিকা তারতিলা যুথি বলেন, আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান শত কোটি টাকার মালিক। এরশাদ সরকারের আমলে তিনি জাতীয়পার্টি করতেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপির নেতা হন। এখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জিএম মুসার স্ত্রী ও আমতলী পৌর যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেসিকা তারতিলা যুথি বলেন, তার শশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলোয়ার হোসেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি আমতলী উপজেলা পরিষধ চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছর তিনি করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার শশুরের মৃত্যুর পর থেকে তার স্বামী জিএম মুসা এবং ভাসুর জিএম হাসানকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে মেয়র মতিয়ার রহমান। 

জেসিকা আরও বলেন, জিএম মুসা এবং জিএম হাসানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসাবশত এসব ষড়যন্ত্র করে আসছেন মেয়র মতিয়ার রহমান। 

তিনি আরও বলেন, তার স্বামী জিএম মুসা আমতলী পৌরসভার কাউন্সিলর থাকা সত্বেও আমতলী পৌরসভার কোনো দায়দায়িত্ব পালন করতে দিচ্ছেন না মেয়র মতিয়ার রহমান। উপরন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাদের একটি কাপড়ের দোকানের ট্রেড লাইসেন্সও দিচ্ছে না পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান।

আমতলী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জিএম হাসানের স্ত্রী ইসরাত জাহান রুলিয়া বলেন, যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, বর্তমান সভাপতি জিএম হাসান এবং বিআরডিবি চেয়ারম্যান জিএম মুসাসহ ১২ নেতাকর্মীর কারামুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানোর মত একটি সামান্য বিষয় নিয়েও মেয়র মতিয়ার রহমান ও তার লোকজন যে নীচুতার পরিচয় দিয়েছে তাতেই বোঝা যায় যে তারা কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ। এ বিষয়ে আমতলী থানায় তারা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জিএম মুসা নিজেই একজন সন্ত্রাসী। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে তিনি ও তার নেতাকর্মীরা শঙ্কিত। 

তিনি আরও বলেন, তার ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করেছে জিএম মুসা ও হাসানের লোকজন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে এক্ষেত্রে তার কোন হাত নেই।’

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার জানান,  এ ঘটনায় দুপক্ষ থেকেই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ তারা যাচাই বাছাই করে দেখছেন। বিশেষ করে নারীদের সাথে ঝগড়াঝাটি ও খারাপ আচরণের অভিযোগটি তারা গুরুত্বের সাথে দেখছেন বলেও জানান তিনি।

আমারসংবাদ/এআই