Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

নৌকা ডুবাতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের উস্কানি ও মদদ 

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

অক্টোবর ১১, ২০২১, ১২:৫০ পিএম


নৌকা ডুবাতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের উস্কানি ও মদদ 

সপ্তম ধাপে আগামী ২ নভেম্বর বহু প্রতীক্ষিত অনুষ্ঠিতব্য নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের গোপনে উস্কানি ও মদদ দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নামধারী নেতাকর্মী। 

অভিযোগ উঠেছে, ব্যক্তি পছন্দ অনুযায়ী দল থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের গোপনে মদদ দিচ্ছেন তারা। এর আগে ঘোড়াশাল পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চান চার প্রার্থী। যার মধ্যে ঘোড়াশাল পৌর মেয়র শরীফুল হক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মুজাহিদ হোসেন তুষার, সাবেক পৌর প্রশাসক শেখ মোঃ ইলিয়াস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপকমিটির যুগ্ম সম্পাদক তানজিরুল হক রনি। কিন্তু দল তৃণমূলে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা জরিপ করে গত বৃহস্পতিবার ৭ অক্টোবর সকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ঘোড়াশাল পৌরসভা থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় আল-মুজাহিদ হোসেন তুষারকে। 

কিন্তু, উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ব্যক্তি পচন্দ না হওয়ায় দলের বিপক্ষে গিয়ে শেখ মোহাম্মদ ইলিয়াস ও তানজিরুল হক রনিকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রচারণা চালাতে গোপনে উস্কানি ও মদদ দিচ্ছেন। আর বিদ্রোহী প্রার্থী চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন দলের মনোনীত প্রার্থীকে। আর তা  বাস্তবে রুপ নিয়েছে গত রোববার উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার মাধ্যমে। 

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফুল হকের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ওনার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবির মৃধাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার জানান, মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে দলের কয়েকজন নেতা ব্যক্তি স্বার্থে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে মিলিত হয়েছেন। নৌকার বিপক্ষে গিয়ে ষড়যন্ত্র ও উস্কানিতে লিপ্ত রয়েছেন। তবে তৃণমূলের ভালবাসায় সকল ষড়যন্ত্র শেষ করে নৌকার জয় সু-নিশ্চিত হবে ইনশা আল্লাহ। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং এখনো মাঠে আসে তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। বিদ্রোহীদের যারা মদদ- উসকানি দিচ্ছেন, তাদেরকে ছাড় দিবে না কেন্দ্র। 

জানা যায়, যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহ করবে এবং জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহে উসকানি দেবে তাদের ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কোনো পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে। নৌকা মার্কায় আজীবন নিষিদ্ধ হবে পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী  ও তাদের মদদ দাতারা। আর এই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে  তথ্য সংগ্রহ  করেছে আওয়ামী লীগ। বিভাগীয় সাংগঠনিক প্রতিবেদন  পেলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।

আমারসংবাদ/কেএস