Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

মহালছড়িতে ৩শ' বিঘা গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

অক্টোবর ১৬, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম


 মহালছড়িতে ৩শ' বিঘা গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি সেনা জোনের অভিযানে দেবতাপুকুর এলাকায় প্রায় ৩শ'বিঘা গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে মহালছড়ি জোনের সেনাবাহিনী।

শনিবার (১৬অক্টোবর) সকালের দিকে মহালছড়ি উপজেলার দেবতাপুকুর এলাকায় টহল চলাকালীন সময়ে প্রায় ৩০০ বিঘা গাঁজা ক্ষেত এর সন্ধান পায় মহালছড়ি সেনা জোন। 

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, দূর্গম পাহাড়ে গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধিন মহালছড়ি সেনা জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর দিদারুল ইসলাম টহল দলের নেতৃত্বে দেন।

পরবর্তীতে পুলিশ স্থানীয় জনসাধারণ এর উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এর মাধ্যমে গাঁজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য  সূত্রে জানা যায়, গহীন অরন্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এরকম জায়গায় মাদক সন্ত্রাসীরা নিরাপদ এলাকা হিসেবে বেছে নিয়েছে। 

আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। প্রত্যন্ত ও দুর্গম এই এলাকায় জন চলাচল নেই বললেই চলে। কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক নজরদারী ও শক্ত গোয়েন্দা কার্যক্রমের ফলে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি জোন।

গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত ০৭ জন এরমধ্যে জমির মালিক ১ জন। তার নাম হলো কদু ত্রিপুরা(৪০)। সে দেবতাপুকুর পাড়ার কলারাম ত্রিপুরা পুত্র। 

গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত ০৪ জন। তারা হলো মুক্ত কুমার ত্রিপুরা (৩৫), পিতা: বিষ্নু কুমার ত্রিপুরা, সুদত্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), মঞ্জয় ত্রিপুর (৩৫), পিতা: চিনোত্ত দত্ত ত্রিপুরা। 

গাঁজা চাষের কর্মী হল ০৩ জন। তাদের নাম মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২), পিতা: মতি কুমার ত্রিপুরা, হরন ত্রিপুরা (৪৫) এবং শান্তি ত্রিপুরা (২৫)। এরমধ্যে ০১ জনকে আটক করে মহালছড়ি সেনা জোন।

আটককৃত ব্যক্তির নাম: মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২), পিতা: মতি কুমার ত্রিপুরা, গ্রাম: দেবতাপুকুর পাড়া, পোষ্ট: ১ নং খাগড়াছড়ি, থানা+জেলা: খাগড়াছড়ি। 


মহালছড়ি থানার এস আই শেখ ইফতেখার মাহামুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, লোক চক্ষুর আড়ালে গ্রামের লোক জন গাঁজার চাষ করেছে। 

নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। মহালছড়ি জোন সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। মহালছড়ি সেনা জোনের এইরুপ কার্যক্রমের ফলে সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে অনুমেয়। মহালছড়ি উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য মহালছড়ি জোনে এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। 

ভবিষ্যতেও মহালছড়ি জোনের এরুপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। করোনা মহামারীর মাঝেও মহালছড়ি জোন কর্তৃক বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে সাধারণ মানুষের জোনের প্রতি তথাপি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি সাধিত হচ্ছে।

আমারসংবাদ/এআই