Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

সন্তানের ভরণ-পোষণ চেয়ে এক মায়ের সংবাদ সম্মেলন

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

অক্টোবর ১৮, ২০২১, ০৭:২৫ এএম


সন্তানের ভরণ-পোষণ চেয়ে এক মায়ের সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠির রাজাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সন্তানের ভরণ পোষণের দাবীতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় এক মা। 

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালি এলাকার মনিরুল ইসলামের মেয়ে মরিয়ম বেগম।

মরিয়ম বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি ২০০৫ ইং তারিখে এক লক্ষ টাকা দেন মোহরে একই উপজেলার গালুয়া দূর্গাপুর এলাকার মৃত হালিম বেপারীর ছেলে কবির হোসেনের সাথে আমার বিয়ে হয়। 

বিয়ের পর বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা সহ সাংসারিক সকল মালামাল সহ কবির হোসেনের গৃহে আমায় তুলে দেন আমার পরিবার। কিন্তু আমার যৌতুক লোভী স্বামী আমার পিতা ও স্বজনদের দেয়া উপহার সামগ্রীতে সন্তেষ্ট না হয়ে আমার উপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। 

এরমধ্যে আমাদের দাম্পত্য জীবনে পরপর দুটি পুত্র সন্তান জিহাদ হাসান ও জিফাত হাসান জন্ম গ্রহন করে। বর্তমানে তাদের একটির বয়স ১৫ বছর এবং অপরটির বয়স ০৯ বছর। কিছু দিন পর সে আমার পরিবারের কাছে পুনরায় বিদেশে ব্যবসা করার জন্য আরো ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে। আমরা পরিবার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে আমার সাথে যোগাযোগ করা সহ আমাদের ভরণ পোষণ বন্ধ করে দেয়।

সেই থেকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে কোনো প্রতিকার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে আমার দেনমোহর ও খোরপোষ এবং আমার এক ছেলের ভরণ পোষণ পেতে রাজাপুর সহকারী জজ আদালতে (মোং নং-১৯/২০১৯) মোকাদ্দমা দায়ের করি। তারপরে গত দুই বছর আগে আমি জানতে পারি সে আরও চার বিয়ে করেছে। অন্যত্র বিয়ের ব্যপারে সত্যতা পাওয়ার পরে আমি তাকে ডিভোর্স দেই। 

বর্তমানে দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে প্রতিমাসে আমার এক ছেলের ভরণ পোষণে প্রায় দশ হাজার টাকার অধিক ব্যয় হচ্ছে। আমার ছেলের বাবা আমার দেনমোহর ও খোরপোষের টাকা পরিষোধ না করায় আমি আমার সন্তানকে নিয়ে এখন অর্ধাহারে ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। আমার দেনমোহর ও খোরপোষের এবং আমার এক ছেলের ভরণ পোষণের টাকা যাতে নিয়মিত পেতে পারি যে জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃস্টি কামনা করছি।