Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

নিষেধাজ্ঞার উপেক্ষা করে সর্বত্র চলছে ইলিশ বেচাকেনা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি 

অক্টোবর ১৯, ২০২১, ১১:৫৫ এএম


নিষেধাজ্ঞার উপেক্ষা করে সর্বত্র চলছে ইলিশ বেচাকেনা

মুন্সীগঞ্জের মেঘনার জেলেরা অভিযানের প্রথম দিন থেকেই নিষেধাজ্ঞার উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার করছে। দিন রাত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে ইলিশ শিকার এবং নদীর তীরে ভাসমান হাট বসিয়ে ইলিশ বেচাকেনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানান, নিষেধাজ্ঞার এই সময়টাকে ইলিশ মাছ শিকার, বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ এবং বাজারজাত করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। কিন্তু মেঘনা নদীর বেপরোয়া জেলেরা শুধু ইলিশ শিকার নয়, অস্থায়ী হাট বসিয়ে নদী থেকে শুরু করে গ্রামের আনাচে কানাচে ইলিশ বিক্রি করছেন। এ ছাড়াও এক ধরনের মৌসুমী মাছ বিক্রেতারা এসব ইলিশ মাছ কিনে প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে ফেরি করে ইলিশ বিক্রি করছেন প্রকাশ্যেই।

অভিযানের দিন যতো শেষের দিকে যাচ্ছে জেলেরা ততোই বেপরোয়াভাবে নদীতে নেমে জেলেরা ইলিশ শিকার করছেন। স্থানীয়রা কঠোর অভিযানের মাধ্যমে জেলেদের পাশাপাশি ইলিশ ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ এবং বাজারজাত করনের সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেপরোয়া জেলেরা নদীতে নেমে মাছ শিকার করে তীরে এসে বিক্রি করছেন। দূর - দূরান্ত থেকে আসা লোকজন নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এসে ইলিশ কিনে নিচ্ছে। অনেকে আত্নীয় স্বজনদের বাড়ীতে অবস্থান নিয়ে ইলিশ কেনার জন্য অপেক্ষায় করছেন। শুধু তাই নয়, এক শ্রেণির মৌসুমী মাছ বিক্রেতাকে বিভিন্ন গ্রামে এবং শহরের পাড়া মহল্লায় ফেরি করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ভোর সকালে শহরের খালইষ্ট এলাকায় আল আমিন নামের এক যুবককে ইলিশ মাছ বিভিন্ন বাড়িতে থাকা ফ্লাটগুলোতে পৌছে দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও শহরের উত্তর ইসলামপুরের ফরাজিবাড়ীর ঘাট এবং মোল্লারচর এলাকায় সুমন, মেজবাহ উদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজনকে প্রকাশ্যে মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাদের থেকে মাছ কিনতে আসা লোকজনও অনেকটা লুকোচুরি করেই মাছ কিনে নিচ্ছেন। তাদের ইলিশ কেনার জন্য দৌড়ঝাপ দেখে মনে হয়েছে ইলিশ যেন তাদের সর্বরোগের মহা ঔষধ। এই সময়টাতে যেভাবে হউক ইলিশ তাদেরকে কিনে খেতে হবেই।

মাছ বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্রেতা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, স্থানীয় ব্যক্তিদের অনুরোধে তারা নদীর তীর থেকে মাছ কিনে এনে দেন। অনেক সময় জেলেরা নিজেদের লোকজন দিয়ে তাদের কাছে সড়ক এবং নৌপথে এসব ইলিশ এনে পৌঁছে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদেরকে ইলিশ কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখেন। বাসিন্দারের চাহিদা মতো বিভিন্ন সাইজ আর বিভিন্ন দামের ইলিশ তারা কিনে এনে দেন। এতে হালি প্রতি তাদের ২শ থেকে ৩শ টাকা লাভ হয়।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম আমার সংবাদকে বলেন, নদীতে এখন ইলিশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে নদীর তীরে থাকা জেলেরা লোভ সামলাতে পারছেনা। চোখের সামনে মাছ দেখে ঝুঁকি নিয়েই তারা নদীতে নামছেন। তবে আমাদের অভিযান চলমান আছে। যেসব স্থানে ইলিশ বিক্রির হাট বসছে সেবস স্থানগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ঔসব স্থানে অভিযান করে ইলিশ বিক্রির সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস