Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

নেত্রকোনায় বিদ্যুৎস্পর্শে কিশোরের মৃত্যু

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

অক্টোবর ১৯, ২০২১, ১২:৪৫ পিএম


নেত্রকোনায় বিদ্যুৎস্পর্শে কিশোরের মৃত্যু

নেত্রকোনার মদনে অটোরিক্সা চার্জ দিতে গিয়ে অন্তর মিয়া (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে বিদ্যুৎ এর শর্ক দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কিশোরের স্বজনরা। এ ঘটনা এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 

অন্তর মিয়া ময়মনসিংহ শেরপুরের বুটকান্দি গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে মদন উপজেলায় নানার বাড়িতে বসবাস করে অটো রিক্সা চালিয়ে আসছে। স্বজনদের অভিযোগ গাবরতলা গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে আনোয়ার আলী (৭০) ও মৃত আলী উসমানের ছেলে মস্তু মিয়া (৬৫) পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে অন্তর মিয়া কে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকালে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।   

পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিশোর অন্তরের খালা শিপা আক্তারকে প্রায় ২ বছর আগে বিয়ে করেন গাবরতলা গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে জসিম মিয়া। এক মাস সংসার করার পর দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এতে দুই পরিবারের মাঝে ৫/৬ টি পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে। সোমবার সকালে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে তর্কবির্তক হলে কিশোর অন্তরের খালা শিপা আক্তার আনোয়ার আলী ও মস্তুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযোগের তদন্তে যায়। রাত প্রায় আনুমানিক ৯ টার দিকে কিশোর অন্তর মিয়া প্রতিদিনের মত বসত ঘরে সামনে অটোরিক্সা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। আশপাশের লোকজন তাকে দ্রুত মদন হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্বব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে হত্যার অভিযোগ উঠলে অন্তরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন মদন থানার পুলিশ।

কিশোর অন্তরের নানা বাবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার নাতি অন্তর মিয়াকে গাবরতলা গ্রামের আন্নর আলী ও মস্তু মিয়াসহ কয়েকজন ধাক্কা দিয়ে বিদ্যুৎ এর লাইরে ফেলে দেয়। পরে আমার নাতি অটো রিক্সার চার্জের লাইনে তাড়ে জড়িয়ে মারা যায়। আমি এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করব। 

অভিযুক্ত আনোয়ার আলী জানান, বাবুল মিয়ার মেয়ে শিপার সাথে আমার ছেলে জসীমের বিয়ে হয়। পরে শিপা তাড়াইল উপজেলায় দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। স্বামীর সাথে ঝামেলা হলে টাকা বিনিময়ে তাদের তালাক হয়। এর পর থেকে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করে আসছে। তার ভাগ্নে অন্তর মিয়া অটো চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ এর লাইনে লেগে মারা যায় শুনেছি। এ ঘটনা এলকার সব মানুষ জানেন। এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকা একাধিক ব্যাক্তি জানান, অন্তর মিয়া একজন অটো চালক। অটো চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা নেওয়ার জন্য এমন অভিযোগ তুলেছে।   

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, বিদ্যুৎ স্পর্শে অন্তর মিয়া নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমারসংবাদ/কেএস