Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

১২ বছরেও পিচের ছোঁয়া লাগেনি, দুর্ভোগের সীমা নেই

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

অক্টোবর ২১, ২০২১, ০৭:৪৫ এএম


১২ বছরেও পিচের ছোঁয়া লাগেনি, দুর্ভোগের সীমা নেই

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের টুংরাইল থেকে কদমী ব্রীজ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ইটের রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা।

গত ১২ বছরেও এ ইটের রাস্তাটির পিচের ছুঁয়া না পাওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভের শেষ নেই। বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় জনসাধরণের দুর্ভোগের সীমা নেই। 

এদিকে, রাস্তাটির কারণে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আড়াই থেকে তিনশ পরিবারকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  ইটের রাস্তাটি ভেঙ্গে ও ডেবে নষ্ট হয়ে পড়েছে। চলছে না কোন যানবাহন। অল্প বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি ভরে পুরো রাস্তায় পানি বেঁধে যাচ্ছে। 

টুংরাইল গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ভাঙাচোরা ইটের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। কোন অসুস্থ রোগী নিয়ে রাস্তা দিয়ে যেতে পারিনা। ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতাযাত করে। তবুও গত ১২ বছর  আগে কাঁচা রাস্তায় ইট বসলেও আজ পর্যন্ত পাকা হয়নি।

যুবলীগ নেতা কদমী গ্রামের বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, টুংরাইল ও কদমী গ্রামের বাসিন্দাসহ আশপাঁশের গ্রামের লোকদের এই রাস্তাটিই ভরসা। এটি পাকাকরণ সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, এই তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হয় সকলকে। ১২ বছর আগে এই তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় ইট বসানো হয়। তার পর আর রাস্তাটি সংস্কার বা পাকাকরণ করা হয়নি। এই তিন কিলোমিটার ভাঙ্গা চুরা ইটের রাস্তার কারণে এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই।

রুপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজার মোল্যা বলেন, 'আমরা এই রাস্তাটির সিডিউল করে উপজেলায় জমা দিয়েছি। আশা করি, দ্রুতই রাস্তাটি পাকাকরণ হবে।'

এব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হলো না।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, 'ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যদি রাস্তাটির সিডিউল উপজেলায় পাঠায় তবে আমরা রাস্তাটির পাকাকরণে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কাজ করব।