Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

গাজীপুর সাফারী পার্কে জোড়া মিলল সাম্বার হরিণের

মাসুদ রানা, শ্রীপুর (গাজীপুর)

অক্টোবর ২১, ২০২১, ১১:২০ এএম


গাজীপুর সাফারী পার্কে জোড়া মিলল সাম্বার হরিণের

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে দুটি মাদি সাম্বার হরিণ অবমুক্ত করায় জোড়া মিলেছে। এখন দুই জোড়া সাম্বার হরিণের বিচরণক্ষেত্র তৈরী হয়েছে সাফারী পার্কে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, ২১ সেপ্টেম্বর রাতে মাদি সাম্বার হরিণ দুটি পার্কে অবমুক্ত করা হয়। আগে দুটি সাম্বার হরিণ পুরুষ হওয়ায় এবার দুটি জোড়া হয়েছে। এতে সাম্বার হরিণের বংশ বিস্তারে সম্ভাবনা তৈরী হল। একইসাথে দর্শণার্থীদের জন্য উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

ওই কর্মকর্তা জানান, নরসিংদী জেলার জনৈক জাফর আহমেদ চৌধুরী ২০০৭ সালে মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে দুটি সাম্বার হরিণ ক্রয় করেন। পরে তিনি তার বাগানবাড়িতে লালন-পালন করছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালের বিধিমিলায় সাম্বার হরিণ লালন-পালন করার কথা উল্লেখ নেই। সাম্বার হরিণ পালনের খবর পেয়ে ঢাকার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্বাবধানে ওই বাগানবাড়ি থেকে হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। কোয়ারেন্টিনের পর মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে মাদি সাম্বার হরিণ দুটি অবমুক্ত করা হয়েছে।

তবে আগে থেকেই সাফারি পার্কের হরিণ বেষ্টনীতে দুটি পুরুষ সাম্বার হরিণ ছিল। বিপরীত লিঙ্গের কোনো সাম্বার হরিণ না থাকায় প্রজনন সম্ভাবনা ছিল না। এবার দুটি সাম্বার হরিণ জোড়া মিলেছে। এতে সাম্বার হরিণ প্রজননের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

পার্কসুত্র জানায়, সাম্বার  হরিণ উপমহাদেশের বৃহত্তম হরিণ, এর উচ্চতা ১৫০ সেমি। এদের শরীর থেকে গরমের সময় অধিকাংশ লোম ঝরে পড়ে। এদের গায়ের রং হলুদাভ বা নীলচে আভাযুক্ত ধূসর। বয়ষ্ক সাম্বারের গায়ের রং কালো হতে থাকে। বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়সহ পূর্ব ফিলিপাইন পর্যন্ত সাম্বারের বিস্তৃতি। ঘন বনাঞ্চল ও ফসলি জমির কাছাকাছি পাহাড়ী এলাকায় দলবদ্ধভাবে এরা থাকতে পছন্দ করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরহরিৎ বনাঞ্চলে এদের দেখা যায়।

এরা প্রধাণত: নিশাচর এবং সূর্যের আলো ফোটার আগেই বনের ভেতর চলে যায়। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বনের ভেতর থেকে বের হয়। নভেম্বর ও ডিসেম্বরের দিকে এদের প্রজনন ঘটে এবং গর্ভধারণকাল প্রায় ৮ মাস। এরা একবার প্রজননে একটিমাত্র শাবকের জন্ম দেয় তবে হঠাৎ দুটিও জন্মে। 

আমারসংবাদ/এআই