Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সিসিটিভি ক্যামেরার পেছনের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবি

আজিজুল হক, চট্টগ্রাম

অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৯:৪৫ এএম


সিসিটিভি ক্যামেরার পেছনের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবি

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখায় সেই ইকবাল হোসেন আটক হয়েছে। স্বীকারও করেছেন ।সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে তাকে সনাক্ত করা হয়। তার সাথে সহযোগী আরও দেখা যায় । তবে ইকবালসহ সিসিটিভি ক্যামেরায় আরো দেখতে পাওয়া ব্যক্তিরাসহ সিসিটিভি ক্যামেরার পেছনের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে ঘটনার আসল উদ্দেশ্য চিহ্নিত করার দাবি এবং কঠিন শাস্তির দাবি জানান চট্টগ্রাম হিন্দু বৌদ্ধ ও পরিষদের নেতারা। 

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ছয়টা থেকে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে সমাবেশ শুরু হয়। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ যোগ দেয়। সমাবেশে আগত প্রতিবাদকারীদের চোখে মুখে আগুন যারা প্রতিবাদ লক্ষ্য করা গিয়েছে। ঐক্য পরিষদের আহ্বানে গণঅনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হাজার হাজার সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্বস্তরের মানুষ সমবেত হয় সমাবেশে।

বক্তারা বলেন, কুমিল্লার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যেভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। সরকারকে দ্রুত এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সংখ্যালঘুরা দেশের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বাঁচতে চায় না। তারা বাকস্বাধীনতা ও নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করতে চায়।

তারা আরও বলেন, আজকে কেউ সরকার কিংবা কারও বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল আইনে মামলা করা হয়। কিন্তু এক শ্রেণির বক্তা বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কোনোরকম ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। অথচ এসব উস্কানিমূলক বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এসময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

এদিকে, সমাবেশ শেষে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশ গুপ্তের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করার কথা রয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, সমাবেশ ঘিরে ভোর থেকে আন্দরকিল্লা ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে প্রশাসন যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আমারসংবাদ/কেএস