মো. সানোয়ার হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
অক্টোবর ২৪, ২০২১, ০৬:১৫ এএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকার ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই স্থানের উভয় পাশে যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের একটাই প্রশ্ন নির্মাণকাজ শেষ হবে কবে?
সূত্রমতে, ২০১৬ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। গোড়াই এলাকার কাজ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোমেন লিমিটেড।
সরেজমিনে মহাসড়কের ওই স্থানে এলে যান চলাচলে ধীর গতি দেখা যায়। রাস্তার মাঝখানে ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ কাজ চলছে আর দুই পাশে ছোট লেন ধরে যানবাহন চলাচলের জন্য ‘‘সার্ভিস রোড” খোলা রাখা হয়েছে। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ২৬টি জেলার যানবাহন চলাচল করে।
এরফলে মহাসড়কের মির্জাপুরের গোড়াই ফ্লাইওভারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া মির্জাপুরের গোড়াই একটি শিল্পাঞ্চল। এখানে প্রায় ৫০টি শিল্প কল কারখানা রয়েছে। ফলে প্রচুর লোকের বসতি হওয়াতে গোড়াই একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
গোড়াই এলাকার ব্যবসায়ী খালেক বলেন, নির্মাণকাজ শেষ হবে কবে এটাই প্রশ্ন? যানবাহনের প্রচুর চাপ থাকায় এখানে প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত আটকে থাকতে হয়। রাস্তার ধুলাবালি আর হর্ণে আমরা এলাকাবাসীরা অতিষ্ঠ।
গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল হক আমার সংবাদকে বলেন, মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক, এলাকার চলাচলকারী মানুষের মহাসড়ক পারাপার তাছাড়া ঈদ, পুজো ও ছুটির সময়ে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হলে আর এ সমস্যা থাকবে না।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বরকত মো. খুরশিদ আলম আমার সংবাদকে জানান, মূল প্রকল্পে গোড়াই ফ্লাইওভার ছিল না, যা পরবর্তীতে সংযুক্ত করা হয়েছে। মূল ফ্লাইওভারের কাজ গত জানুয়ারি মাসে শুরুর পর জমি অধিগ্রহন, বিল্ডিং অপসারণ, গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ লাইন ও সার্ভিস রোড করে ফ্লাইওভারের কাজ করতে হয়েছে। ৩৭০ মিটার গোড়াই ফ্লাইওভারের কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।