Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

বিসিসির ভুয়া অনুমোদন রশিদ দিয়ে টাকা নেয়ায় যুবক গ্রেপ্তার

বরিশাল প্রতিনিধি

অক্টোবর ২৬, ২০২১, ১১:০০ এএম


বিসিসির ভুয়া অনুমোদন রশিদ দিয়ে টাকা নেয়ায় যুবক গ্রেপ্তার

গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন ফি’র ভুয়া রশিদ তৈরি করে প্রতরণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মুন্না বেপারি নামে এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে অভিযুক্ত মুন্নাকে বিসিসির নগর ভবন থেকে আটক করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। আটককৃত মুন্না সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা এলাকার বারেক বেপারীর ছেলে এবং পেশায় স্যানিটারী মিস্ত্রি।

জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইছাকাঠী মহামায়া এলাকার কবির একটি গভীর নলকূপ বসানোর জন্য স্যানিটারী মিস্ত্রি মুন্নার সাথে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। সেই অনুযায়ী কবির প্রথমে মুন্নাকে ৭৫ হাজার টাকা দিলে স্যানিটারী মিস্ত্রি মুন্না প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন ফি এর একটি ভুয়া রশিদ তৈরি করে।

আর এ কাজে তিনি কাগাশুরা 'ইরা স্টুডিও'র সেলিমের সহযোগিতা নেয় এবং সেলিম একটি ভুয়া রশিদ তৈরি করে মুন্নাকে সরবরাহ করে। পরবর্তীতে স্যানিটারী মিস্ত্রি মুন্না ওই ভুয়া রশিদ কবিরকে সরবরাহ করে। 

কবির তা হাতে পেয়ে নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করে। বিষয়টি টের পেয়ে সিটি কর্পোরেশন থেকে সংশ্লিষ্টরা ওই স্থানে গেলে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর বিসিসির পানি সরবরাহ শাখা থেকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতারক মুন্নার সাথে যোগাযোগ করে এবং মঙ্গলবার সকালে তাকে কৌশলে নগর ভবনে ডেকে আনা হয়।

মুন্না নগর ভবনে এলে প্রতারণার বিষয়টি তার কাছে উপস্থাপন করলে সে অকপটে তা স্বীকার করে জানায়, প্রতারনার আশ্রয় নেওয়ার পর বিষয়টি হাসিব নামে এক স্যানিটারী প্রতিষ্ঠানের মালিককে অবগত করে। তিনি বিষয়টি দেখবে বলে মুন্নার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। 

এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা প্রতারক মুন্নাকে কৌশলে আটক করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে তাকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

আমারসংবাদ/এআই