ধামরাইয়ে নৌকার অফিস ভাংচুর 

আগামী ১১ নভেম্বর ধামরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্ধের পর পরই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত ও ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ এবং সফল চেয়ারম্যান হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজাহার আলীর নির্বাচনী অফিসে বুধবার (২৭ অক্টোবর) ভাংচুর তাণ্ডব চালায় বিদ্রোহী প্রার্থী প্রভাষক আওলাদ হোসেনের লোকজন। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকায় অবস্থিত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে প্রায় অর্ধশতাধিক চেয়ার ভাংচুর করে এলোমেলোভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। তাছাড়াও ওই ক্যাম্পে রশিতে ঝুলানো নৌকা প্রতীকের পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। রশিতে সাটানো নৌকার পোস্টার ছেড়া অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।

এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজাহার আলী জানায়, রাত সাড়ে দশটার দিকে আমার (নৌকার) সমর্থকরা ওই অফিসে বসে নির্বাচন পরিচালনার ব্যাপারে মিটিং করছিল। এসময় আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রভাষক আওলাদ হোসেন গোটা ২০টি মোটর বাইকে করে ২০/৩০ জন  সমর্থকসহ আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালায়। আমার সমর্থকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয় দেখানো হয়। পরে আমার লোকজন জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে যাওয়ার পর ক্যাম্পে থাকা চেয়ার, টেবিল, চায়ের কাপ, গ্যাসের চুলা ভাংচুর করে এবং সাটানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তারা। আমি এ বিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ দিব। আমার সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তাই সতন্ত্র প্রার্থী হিংসাত্বক মনোভাব নিয়ে হামলা ও হুমকি প্রদান করছে।

এ ঘটনার পর উক্ত নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের হামলার আশংকা করছে নৌকার সমর্থকরা। 

এ বিষয়ে সতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনের কোন বক্তব্যই পাওয়া যায়নি।

আমারসংবাদ/এমএস