Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

আদালতে ভুয়া মেডিকেল সনদ দাখিল করে কারাগারে বাদী

বরিশাল প্রতিনিধি

অক্টোবর ২৯, ২০২১, ০১:৫৫ পিএম


আদালতে ভুয়া মেডিকেল সনদ দাখিল করে কারাগারে বাদী

মামলা করতে ভুয়া মেডিকেল সনদ আদালতে দাখিল করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। 

হাজতে যাওয়া অভিযুক্ত হলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলার রূপারজোর এলাকার জয়নাল সরদারের ছেলে লুৎফর রহমান। 

বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ অভিযুক্তকে জেল হাজতে প্রেরণের ওই নির্দেশ দেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মাহফুজ আলম বাদীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাল সনদের অভিযোগ দায়ের করেন। 

পরে বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ অভিযুক্তকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, লুৎফর রহমান নামের ওই ব্যক্তি গত ৪ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় বিচার আদালতে একই এলাকার ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা দায়ের দায়ের করেন। মামলায় বাদী লুৎফর উল্লেখ করেন, তার ভাবী রেহেনা বেগমকে গত ৩০ মার্চ অভিযুক্তরা মারধর করে গুরুতর জখম করে। 

নালিশির সাথে সাথে ফিরিস্তি হিসেবে শের-ই বাংলা মেডিকেলের ডা. মাহবুবুর রহমান নামে স্বাক্ষর করা একটি মেডিকেল সনদও দাখিল করেন বাদী। পুলিশ ব্যতীত মেডিকেল ভিকটিমের সনদ পাওয়ার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাদী সনদ দাখিল করায় আদালত রহস্য দেখতে পায়। 

বাদী লুৎফর রহমানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজ হাতে এই সনদ সংগ্রহ করেছেন বলে আদালতে জবাব দেন। পরে আদালত ডাক্তারি সনদ যাচাই করতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বরাবর প্রেরণ করেন। 

আদালত সূত্র আরও জানায়, পরিচালকের নির্দেশ মতে শেবাচিম হাসপাতালের ডা. মাহবুবুর রহমান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে যাচাই করতে পাঠানো সনদে সিল ও স্বাক্ষর তার নয় এবং কোনো ভিকটিমকে মেডিকেল সনদ দেওয়া হয় না বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান। 

ডাক্তারি প্রতিবেদনে লুৎফর রহমান জাল ডাক্তারি সনদ দাখিল করেছে বলে প্রমাণ পায় আদালত। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আদালতের পক্ষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাহফুজ আলম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। 

আমারসংবাদ/এআই