Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

পরীক্ষা না নিয়ে নিয়োগ, শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাকে আটকে বিক্ষোভ

এনামুল হক, বাউফল (পটুয়াখালী)

অক্টোবর ২৯, ২০২১, ০২:৪৫ পিএম


পরীক্ষা না নিয়ে নিয়োগ, শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাকে আটকে বিক্ষোভ

মাদ্রাসার অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেছে প্রার্থীরা।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে পটুয়াখালীর বাউফলের পোনাহুরা ইসলামিয়া নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

প্রার্থীদের কয়েকজন জানায়, ১৯ জুলাই, ২০২১ তারিখের দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিয়োগ বোর্ড গঠনের করে শুক্রবার সকাল ৯টায় ওই মাদ্রাসায় প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে। এরপর প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা শেষ করে তার রেজাল্ট প্রকাশ না করেই মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে ডাকা হয় অধ্যক্ষের রুমে। 

প্রার্থীদের অধিকাংশের অভিযোগ মৌখিক পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই আধা ঘন্টার মাথাতেই মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতির নাতি সম্পর্কের আল মামুন নামে একজন প্রার্থীকে সম্পূর্ণ সাজানোভাবে নির্বাচিত করে নাম ঘোষণা করা হয়। 

এসময় লিখিত পরীক্ষায় আ. জব্বার নামে একজন প্রার্থীর প্রথম হওয়ার কথা চাউর হয়ে যায়। নাম ঘোষণার পরে মাদ্রাসা ক্যাম্পাস থেকে চলে আসতে চাইলে নিয়োগ প্রত্যাশী অন্যান্যরা তাদের লোকজন সহ মাদ্রাসা ক্যাম্পাসেই ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলামের গাড়ি আটকে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয় ও বিক্ষোভ করে। 

এসময় ডিজির প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘বিমানে চড়ে আসেন, টাকা নিয়ে চলে যান। খাতা না দেখালে গাড়ির কাচ একটাও থাকবে না।’ 

কেউ দেখতে চায় লিখিত পরীক্ষার খাতা সহ চুড়ান্ত ফলাফলও। গাড়িতে নগদ টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে কেউ আবার তা রেখে দিতেও চায়। তবে এক পর্যায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খাতা দেখাবেন জানিয়ে ও পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে গাড়িতে উঠে চলে আসেন ওই প্রতিনিধি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রার্থী মোবাইলফোনে অভিযোগ করেন অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে অধ্যক্ষ ও মাদ্রাসার গভর্নিং বড়ির সভাপতির যোগসাজসে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে সভাপতি মোশারফ হোসেন মল্লিকের নাতির নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এই নীল নকশা আটা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান তিনি। পূনরায় ফ্রি-ফেয়ার পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগেই সভাপতির নাতিকে প্রশ্ন জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’  

এ ব্যাপারে গভর্নিং বডির সদস্য (শিক্ষক প্রতিনিধি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন,  লোকালে পরীক্ষা নিলে কিছুটা সমস্যা থাকে। সদস্য থাকলেও আমি ভেতরে (ভাইবার সময়) ছিলাম না।’    

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, ‘আনুমানিক মাস তিনেক আগে জনকন্ঠ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মোট ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কিংবা পটুয়াখালী জেলা সদরে অথবা ঢাকা বসেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারতো। আমরা কেবল ফ্রি-ফেয়ার পরীক্ষা নিতেই মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। সভাপতি অনুপস্থিতর কারণ জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 

আমারসংবাদ/এআই