নাটোর প্রতিনিধি
অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০৮:৩৫ এএম
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ভোটার ছাড়া অন্য ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী প্রচারণা সভায় তিনি এমন মন্তব্য।
বিরোধীদের উদ্দেশ করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, তারা ১১ তারিখে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ষড়যন্ত্র করবে, যাতে করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তাই এদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, যারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তাদের আর ভোট দেওয়ার অধিকার নাই বাংলার মাটিতে।
মাসুদুর রহমান বলেন, বাংলার মাটিতে ভোট দেবে যারা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিল।
তিনি আরও বলেন, নাটোরের আপনাদের আমাদের প্রিয় নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল ম্যাসেজ দিয়েছেন- কোনো প্রকার নৌকার বিরোধীরা ১১ তারিখে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে না। ভোট তো দেওয়া দূরে থাক, ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে যেতে পারবে না!
সভায় বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোটারদের উদ্দেশে একই ধরনের হুমকি দেন তাঁতী লীগের জেলা সভাপতি মশিউর রহমান, তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বকুল হোসেন।
তেবাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তেবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, নৌকার সমর্থকরা শুধু ভোটারদের হুমকি নয়, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে, এমনকি মারধরের হুমকি দিচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের কোনো প্রতিবন্ধকতা যেন কেউ সৃষ্টি করতে না পারে, তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ভোটারদের কেউ কোনো বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবে না, পুলিশ সেটা নিশ্চিত করবে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, এ ধরণের কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে পুলিশ সুপারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হুমকির বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আমারসংবাদ/জেআই