Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

মেজর এম.এ জলিলকে স্মরণ করেননি মুক্তিযোদ্ধারা

বরিশাল প্রতিনিধি

নভেম্বর ২০, ২০২১, ০৮:১৫ এএম


মেজর এম.এ জলিলকে স্মরণ করেননি মুক্তিযোদ্ধারা

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নবম সেক্টরের কমান্ডার এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর এমএ জলিলের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদের কোন কর্মসূচি ছিলো না।

এরফলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ক্ষুদ্র পরিসরে বরিশালের উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সামনের স্মৃতিফলকে শুক্রবার পুস্পমাল্য অর্পন করার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করেছেন মেজর এমএ জলিল পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মেজর এমএ জলিল ১৯৪২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি উজিরপুরের সিকদার পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জোনাব আলী চৌধুরী। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষণ অফিসার হিসেবে তিনি যোগদান করেন।

১৯৬৫ সালে তিনি কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে ১২নং ট্যাঙ্ক ক্যাভালরি রেজিমেন্ট অফিসার হিসেবে তৎকালীন পাক-ভারত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন। ১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ছুটিতে বরিশালে আসেন এবং মার্চ মাসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নবম সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সূত্র মতে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনে তিনি যুক্ত ছিলেন। তিনি এ দলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি জাসদ সভাপতির পদ থেকে ইস্তেফা দিয়ে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামের একটি দল গঠণ করেন। ১৯৮৯ সালের ১৯ নভেম্বর মেজর এমএ জলিল পাকিস্তানের ইসলামাবাদে মৃত্যুবরণ করেন। ওই বছরের ২২ নবেম্বর তার লাশ ঢাকায় আনার পর সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়। বর্তমানে ব্যারিষ্টার সারাহ জলিল ও ব্যারিষ্টার ফারাহ জলিল নামের তার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।