Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত, জানাজা ছাড়াই দাফন

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১, ২০২১, ০৫:১০ এএম


হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত, জানাজা ছাড়াই দাফন

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাব্বির হোসেন (২৮) ও মো. সাজনকে (৩২) জানাজা ছাড়াই দাফন করতে হয়েছে।

গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তারা। পরে পুলিশি পাহারায় মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হলেও তাদের জানাজা নামাজে কেউ আসেননি। তাই জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে।

নিহত সাব্বির নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে এবং সাজন নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে। নগরীর সংরাইশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নিজ এলাকায় মরদেহ নিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে- এই আশঙ্কায় সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু মাগরিব নামাজের ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেও নামাজে জানাজা পড়াতে কোনো মাওলানা ও মুসল্লি এগিয়ে আসেননি। এ সময় এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে জানাজা ছাড়াই মাগরিব নামাজের কিছু আগে সাব্বির হোসেন ও মো. সাজনের মরদেহ দাফন করা হয়। কবরস্থান এলাকায় দুই পরিবারের সীমিত সংখ্যক সদস্যকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এর আগে দুপুর থেকে এলাকার লোকজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই জনের মরদেহ এলাকায় দাফন না করতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন।

কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনওয়ারুল আজিম বলেন, এলাকাবাসী নিহতদের দাফনের সময় সমস্যা করতে পারে- এই আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ না আসায় জানাজা ছাড়াই তাদের মরদেহ দাফন করতে হয়েছে।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর বিকেলে নগরীর সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়। 

এই ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত ওই কাউন্সিলরের ভাই সৈয়দ রুমান।

আমারসংবাদ/জেআই