Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

গরীবের ম্যাজিক বাতি

আগস্ট ৩, ২০১৫, ০৭:৫২ পিএম


গরীবের ম্যাজিক বাতি

    উদ্ভাবিত হয়েছে, ম্যাজিক বাতি। ম্যাজিক বলা এই কারণে যে, এই বাতি জ্বলবে শুধুমাত্র পানি ও দুই চামচ লবণে। এতে একটা ঘর পুরোপুরি আলোকিত হবে। আর একবার জ্বালালে জ্বলবে টানা আট ঘণ্টা!

শুধু তাই-ই নয়, চাইলে যে কেউই এই বাতি থেকে তার স্মার্টফোন চার্জ করিয়ে নিতে পারবেন। এ জন্য ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করতে হবে।

গবেষকেরা এই বাতির নাম দিয়েছেন- ‘সল্ট’ (Sustainable Alternative Lighting- SALT)। অর্থাৎ অব্যাহতভাবে জ্বলবে এমন বিকল্প বাতি।

গবেষকরা বলছেন, এই বাতি উদ্ভাবনের মূল উদ্দেশ্যে হলো, বিশ্বের এক বিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পান না। এই বাতি তাদের কাজে আসবে।

তারা জানাচ্ছেন, যারা অন্ধকারে থাকতে বাধ্য হন তারা এবং যাদের আলো ছাড়া স্কুল থেকে বাড়ি আসতে কিংবা অফিস থেকে বিপজ্জনক কেরোসিনের বাতি ব্যবহার করতে হয়, যাদের সেটাও কেনার সামর্থ্য নেই, তারা এই বাতি ব্যবহার করতে পারবেন।

এই ‘সল্ট’ বাতি চলে গ্যালভানিক সেল ব্যাটারিতে। এতে থাকে ইলেকট্রোলাইট দ্রবণ। এ ছাড়া ব্যাটারিতে দুটি ইলেকট্রোড থাকে। এই ব্যাটারিতে পানি এবং লবণ দিলে দ্রবণ তৈরি হয়। এই দ্রবণই বাতিতে আলো জ্বালতে সাহায্য করে।

গবেষকরা বলছেন, যখন ইলেকট্রোড দুটো ইলেকট্রোলাইটের স্পর্শ পায়, তখনই তা শক্তি উৎপন্ন করে এবং এলইডি (Light-emitting diode) বাল্বকে জ্বলতে সাহায্য করে।

তারা বলছেন, প্রতিদিন টানা আট ঘণ্টা হিসেবে ব্যবহার করলে ছয়মাস ব্যবহার করা যাবে এই ব্যাটারি। মোমবাতির পরিবর্তে এই বাতি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন।

নতুন উদ্ভাবিত এই ‘সল্ট’ বাতি ফিলিপাইনের বিভিন্ন দ্বীপে বসবাসকারী আদিবাসীদের পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে।

গবেষকরা আরো বলছেন, সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারীরাও এই বাতি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ, তাদের হাতের নাগালের মধ্যেই সমুদ্রের পাওয়া যায়। সমুদ্রের পানি বোতলে ভরে রেখে যে কোনো সময়, যে কোনোখানে এই বাতি ব্যবহার করা যাবে।

এই বাতি ২০১৬ সালে বাজারজাত করা হবে।

এদিকে, জানা গেছে, আরো একধরনের বাতি উদ্ভাবনের কাজ চলছে, যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাহায্যে চলবে। এই বাতির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘গ্রাভিটিলাইট’। তখন এই বাতির দাম একেবারেই হাতের নাগালের মধ্যে থাকবে, যা সাধারণ মানুষ সব সময় ব্যবহার করতে পারবেন।