Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

সকল আন্ত:নগরে ফ্রি ওয়াই-ফাই সেবা

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫, ০৬:৪২ এএম


সকল আন্ত:নগরে ফ্রি ওয়াই-ফাই সেবা

   সকল আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাপথে ওয়াই-ফাই সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এরই মাধ্যমে বাংলাদেশের রেলওয়ে সেক্টর ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশ। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা এ জাতীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে যাত্রীরা এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন ।
 
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে আন্ত:নগর ট্রেনে ওয়াই-ফাই সংযোগের কাজ শুরু করেছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন। চলতি সপ্তাহে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী সূবর্ণ এক্সপ্রেসে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে ওয়াই-ফাই সেবা।
 
এরপর পর্য‍ায়ক্রমে এ রুটে চলাচলকারী মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, মহানগর গোধুলী এবং ঢাকা রাজশাহীগামী সিল্কসিটি, পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ সব আন্ত:নগর ট্রেনে ওয়াই-ফাই সেবা দেওয়া হবে। আসন্ন ঈদের আগেই একাধিক আন্ত:নগর ট্রেনে ওয়াই-ফাই সেবা চালু হবে।
 
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) আমজাদ হোসেন শনিবার ১২ সেপ্টেম্বর জানান, রেল যোগাযোগকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে আন্ত:নগর ট্রেনে ওয়াই-ফাই সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রথম ধাপে সুবর্ণ এক্সপ্রেসে এ সেবা চালু হতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য আন্ত:নগর ট্রেনে ওয়াই-ফাই সেবা দেওয়া হবে।
 
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার ১০ সেপ্টেম্বর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের একটি বগিতে পরীক্ষামূলকভাবে ওয়াই-সেবা চালু করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ট্রেনটিতে এ উদ্যোগের শুভ সূচনা করবেন রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।
 
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল বিনামূল্যে যাত্রীদের এ সেবা দেওয়া।
 
তবে গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামীণফোন প্রথম ৬ মাস এ সেবাটি বিনামূল্যে দেবে রেলওয়ের সঙ্গে এমন আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এ ৬ মাসে আপলোড-ডাউনলোড কেমন হয় তা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। যদি লিমিট প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যায় তাহলে ৬ মাস পরে রেলওয়ের কাছে তারা মূল্য সংযোজন কর চাইতে পারে। অন্যথায় ৬ মাস পর প্রত্যেক ডিভাইসে সর্বোচ্চ ১শ’ থেকে ২শ’ মেগাবাইট পর্যন্ত ডাটা নির্ধারণ করে দেওয়া হতে পারে। তবে এখনই কিছু চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত ছয় মাস বিনামূল্যে সেবাটি দিয়ে যাবে গ্রামীণফোন।
 
এদিকে এমন উদ্যোগকে নতুন দিগন্তের সূচনা হিসেবে দেখছেন রেলওয়ের যাত্রীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ব্যবসায়িক কারণে প্রতি সপ্তাহে যাতায়াতকারী মেহরাব হাসান বলেন, ওয়াই-ফাই সেবা ট্রেনে চালু হলে সত্যিই নতুন একটি ধাপে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
 
তিনি জানান, এমনিতে ট্রেনে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ওয়াই-ফাই থাকলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।
 
বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীরা ট্রেনে ওয়াই-ফাই সেবার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি ট্রেনের ভেতরের পরিবেশের উন্নতিসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করার প্রতিও জোর দেন।