Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

পৃথিবীতে সবচেয়ে কৃষ্ণ বস্তু ‘ভান্টাব্ল্যাক’! (ভিডিও)

অক্টোবর ২৭, ২০১৫, ০৭:৫৯ এএম


পৃথিবীতে সবচেয়ে কৃষ্ণ বস্তু ‘ভান্টাব্ল্যাক’! (ভিডিও)

   কালো কি কোনো রঙ? উত্তরটা কিন্তু না। যে বস্তু মৌলিক পাঁচ রঙের (আলো) সবটাই শোষণ করে সেটিই কালো দেখায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাধারণ কালো বস্তুগুলো আলোর সবটুকু শুষে নিতে পারে না। এ কারণেই কালো বস্তুও আমরা দেখি। একশ ভাগ শুষে নেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো বস্তু কিন্তু কখনোই খালি চোখে দেখা সম্ভব হবে না।

এ যাবৎ পৃথিবীর সবচেয়ে কালো বস্তুটি ছিল কার্বন ন্যানোটিউবে তৈরি একটি বস্তু। কিন্তু সোমবার থেকে সেটি আর নেই। সেই জায়গাটা দখল করলো নতুন আরেকটি বস্তু। বিজ্ঞানীদের দাবি, বস্তুটি এতটাই কালো যে, আলোর ৯৯ শতাংশরও বেশি শুষে নিতে পারে।

কালো বস্তুর প্রধান ব্যবহার হচ্ছে, সৌরশক্তিকে আরও বেশি করে কাজে লাগানো। সম্পূর্ণ সাদা গুবরে পোকা দেখেই একদল বিজ্ঞানী সুপার-ব্ল্যাক মেটেরিয়াল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। কয়েক মাসের চেষ্টায় তৈরিও হয়ে যায় ন্যানোস্ট্রাকচারের বস্তুটি।

বস্তুটির নাম দেয়া হয়েছে ভান্টাব্ল্যাক (Vantablack)। এটিও তৈরি করা হয়েছে কার্বন ন্যানোটিউব দিয়ে। তৈরি করেছে ব্রিটিশ ন্যানো টেক কোম্পানি সুরি ন্যানোসিস্টেম। তাদের দাবি, এটি আলো ও তাপের ৯৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ শুষে নেয়। যেখানে সাধারণ কৃষ্ণবস্তু আলোর ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ শোষণে সক্ষম।

নতুন বস্তুটি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং যুক্তরাষ্টের ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেকনোলজি পরীক্ষা করে স্বীকার করেছে, এটিই এখনকার সবচেয়ে কৃষ্ণ বস্তু।

এই কৃষ্ণ বস্তু তৈরি হয়েছে লাখ লাখ কার্বন ন্যানোটিউব দিয়ে। প্রত্যেকটি টিউব দুই থেকে তিন ন্যানোমিটার। (ন্যানোমিটার = এক মিটারের ১০ লাখ ভাগের এক ভাগ)। এটি তৈরি করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের উপর।

এই বস্তুর দিকে তাকালে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। রেটিনার উপর প্রচণ্ড চাপ পড়বে। একনজরে বেশিক্ষণ দেখা সম্ভব হবে না। মনে হবে যেন ওখানে কিছু নেই, শুধু অন্ধকার! অর্থাৎ আপনি এর আকার আকৃতি স্পষ্ট করে দেখতেই পারবেন না।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বস্তুর সাহায্যে সৌরশক্তিকে আরও ভালো ভাবে ব্যবহার করা যাবে। বেশি করে আলো শুষে নিলে, বেশি শক্তি উত্‍‌পন্ন হবে। অর্থাৎ আরো শক্তিশালী সৌরপ্যানেল তৈরি করা যাবে।

সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার ন্যানোটেকনোলজি সাময়িকীতে।

সুত্র: সিএনএন