Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

শুরু হচ্ছে দ্রুতগামী 'হাইপারলুপ ট্র্যাক' এর কাজ

অক্টোবর ২৯, ২০১৫, ০৮:৩৮ এএম


শুরু হচ্ছে দ্রুতগামী 'হাইপারলুপ ট্র্যাক' এর কাজ

    পরীক্ষামূলক নতুন একটি হাইপারলুপ ট্র্যাক বানাতে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে হাইপারলুপ ধারণার উপর ভিত্তি করে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণের লক্ষ্যে কর্মরত মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজিস (এইচটিটি)’। ওই হাইপারলুপ ট্র্যাক নির্মাণে খরচ হবে ৬শ’ কোটি মার্কিন ডলার।

২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো হাইপারলুপের ধারণা দেন মার্কিন প্রকৌশলী ও উদ্ভাবক ইলন মাস্ক। সৌরশক্তি নির্ভর এই প্রযুক্তিতে ক্যাপসুলের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে যাত্রীরা কম সময়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন।

প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ সাইট ওয়াইয়ার্ড ডটকম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের কিংস কান্ট্রিতে বানানো হবে হাইপারলুপ ট্র্যাক।

যাত্রীসহ হাইপারলুপ ক্যাপসুলগুলো ঘন্টায় ১শ’ ৬০ মাইল বেগে চালানো হবে। আর খালি ক্যাপসুলগুলো ট্র্যাকে ছুটবে ঘন্টায় ৭শ’ ৮০ মাইল বেগে। এতে যাত্রীদের উপর থাকা অভিকর্ষজ বল অনেকটা ফর্মুলা ১ চালকদের গাড়ি চালানো সময়কার অনুভূত অভিকর্ষজ বলের সমান হবে। আর টিউবগুলো যতটা সম্ভব সোজা রাখা হবে।  

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, সারা বিশ্বে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্য রয়েছে এইচটিটির। যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে গ্লাসগো পর্যন্ত এই যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে ৩শ' ৯০ কোটি পাউন্ড থেকে ৫শ' ২০ কোটির মতো খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। এর ফলে মাত্র ৩০ মিনিটে লন্ডন থেকে গ্লাসগো যাওয়া সম্ভব হবে।

সৌরশক্তিতে চলা পুরো ট্র্যাকটি বিশাল একটি বিলবোর্ড হিসেবে ব্যবহার এবং এ থেকে বেঁচে যাওয়া বিদ্যুৎ বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। প্লেন, বাস বা গাড়ির মতো অন্যান্য যাতায়াত ব্যবস্থার চেয়ে এটি অনেক ‘সস্তা’ হবে, এমনকি বিনামূল্যেও যাত্রীসেবা দেওয়া যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছে প্রতিষ্ঠানটি! অবশ্য সেটি কীভাবে সম্ভব হবে তা বিস্তারিত জানায়নি কোম্পানিটি।   

এই ব্যবস্থাকে প্রচলিত যাতায়াত ব্যবস্থার চেয়ে “সস্তা, দ্রুত আর নিরাপদ” বলে দাবি করেন মাস্ক। টেসলা ব্লগে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “এটি আবহাওয়ার প্রভাবমুক্ত, পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিজেই শক্তি উৎপাদন করবে আর ভূমিকম্পরোধী।”