এপ্রিল ২৯, ২০২১, ০৪:১৫ পিএম
ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেয়ে ও দেশের খ্যাতনামা একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সে। তার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা চলছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবি এক যুবকের। দেখা শুনাও হয়েছিল তাদের। দেখতে এসে মেয়েটির ফোন নম্বর নিয়ে যায় যুবক। কয়েকদিন কথাও হয়।
তবে, মেয়েটির তাকে ভাল লাগেনি বলে তাকে মানা করে দেয় কিন্তু ছেলেটি তাকে নানাভাবে বিরক্ত করতে থাকে। ফেসবুকে তার নামে ফেইক আইডি খুলে সেখানে আজেবাজে লিখতে থাকে। সেই আইডি দিয়ে তার মেডিকেলের বিভিন্ন গ্রুপে ঢুকে নানা পোস্ট দিতে থাকে।
মেয়েটির আত্মীয় স্বজনদেরও বিরক্ত করছিল ছেলেটি। তার এই হয়রানির কারণে সে কোনোভাবেই পড়াশোনা করতে পারছে না। ভীষণ মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। তার পরিবারও অতিষ্ঠ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সে পুলিশের সহযোগিতা চায়।
এভাবেই মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে বার্তা পাঠিয়েছিল মেয়েটি। বার্তা পাওয়ার পরপরই মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাঈনুল ইসলাম, পিপিএমকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়।
পাশাপাশি, ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবীরকে নির্দেশনা দেয় এ বিষয়টি তদারকি করতে।
উভয়ের তদারকি ও ওসির প্রত্যক্ষ উদ্যোগে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সেদিন মেয়েটি ও তার পরিবারকে থানায় আসার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
মেয়েটির অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়।
ঢাকা জেলা তথা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর এই দ্রুত পদক্ষেপকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সেবা গ্রহীতা ওই মেডিকেল ছাত্রী।
আমারসংবাদ/এআই