Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

ইতিবাচক ভিডিও চিত্র তৈরিতে সাড়া ফেলেছে RMS MOTIVATION

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২০, ২০২২, ০৭:৫০ এএম


ইতিবাচক ভিডিও চিত্র তৈরিতে সাড়া ফেলেছে RMS MOTIVATION

পত্রিকার পাতা খুললেই ভয়ঙ্কর সব সংবাদে আমরা আঁতকে উঠছি। মা সন্তানকে মেরে ফেলেছে বা স্বামী স্ত্রীকে। এক আত্মীয় আরেক আত্মীয়র বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছি। সেই মামলা চলছে বছরের-পর-বছর। মামলার খরচ যোগাতে উভয় পরিবার নি:স্ব। এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে ঘটছে। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমরা তা দেখছি। এভাবে ধীরে ধীরে আমাদের সমাজ হয়ে উঠছে অপরাধ প্রবণ। সমাজের মানুষের মধ্য থেকে অপরাধকে কমিয়ে আনতে আইন প্রয়োগ অবশ্য জরুরি। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে মানুষের মন মানসিকতাকে পরিবর্তন করা যাবে না। যে কারণে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করছে আইন প্রয়োগের মধ্য দিয়ে। তবে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি মানুষেরই এই সমাজের কল্যাণে কিছু করার আছে।

সেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ২০১৯ সালে RMS MOTIVATION এর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি সমাজের এসব ছোট ছোট অসঙ্গতি তুলে ধরে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। RMS MOTIVATION হল DURBIN INSPIRING LTD. এর একটি সহপ্রতিষ্ঠান। RMS Motivation জীবন, মানুষ, অনুপ্রেরণা, প্রেরণা, সাফল্য, ব্যর্থতা, সংস্কৃতি, মানবজাতি, শিক্ষা, বাস্তব]তা এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে তাদের কনটেন্টে কথা বলে। বর্তমানে তাদের ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা ৪২ লক্ষের অধিক এবং ইউটিউবে প্রায় ৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবার।

টেলিভিশন রেডিও পত্রিকা চেয়েও আরো হাতের নাগালে হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুকের মাধ্যমে এসব ইতিবাচক তথ্য মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। মুঠোফোনের মাধ্যমে এসব ইতিবাচক তথ্য পেয়ে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। মন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটছে। ফেসবুকের এই ভিডিও কনটেন্ট মাধ্যমে RMS কোটি মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে গিয়েছে এবং RMS এর এসব ভিডিও দেখে মানুষের মধ্যে হানাহানি মানুষের পারিবারিক দূরত্ব সন্দেহ-সংশয় অপরাধ প্রবণতা এগুলো কমাতে পারবে বলে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটি।

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে স্যোশাল মিডিয়া বেশ শক্তিশালী একটি মাধ্যম। এই মাধ্যমের সঙ্গে প্রযুক্তি যুক্ত থাকায় খুব অল্প সময়ে দর্শকের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া যায়। আর এই স্যোশাল মিডিয়ার বড় একটি মাধ্যম ফেসবুক। যা এখন আর শুধু বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং বা ফটো শেয়ারিং এর জন্য নয় বরং ফেসবুক থেকেই গড়ে ওঠে ইতিবাচক সামাজিক কার্যক্রম। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর বড় একটা অংশ ভালো এবং ইতিবাচক ভিডিও চিত্র দেখতে পছন্দ করছে।

সমাজের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে যায় অনেক ঘটনা। সমাজের অবহেলিত মানষের জীবনের হাজার রমকের গল্প থাকে এবং সেইসাথে জীবন বদলের গল্পও থাকে। অসহায়দের প্রতি মানবিক আচরণ, ব্যর্থতার গ্লাণি মুছে সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছানোর পেছনেও কোনো না কোনো প্রেরণা থাকে। আর সমাজ থেকে এইসব অণুপ্রেরণা দেয়া গল্পই তুলে আনে RMS MOTIVATION। আর এরকম প্রেরণামূলক গল্প থেকেই ভিডিও চিত্র তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। আর প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব লেখকের লেখা থেকে মৌলিক ভিডিও চিত্র তৈরি করছে। এরই মধ্যে খুব অল্প সময়ে স্যোশাল মিডিয়ায় এই মাধ্যম ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে RMS MOTIVATION।

“আমরা শুধু গল্প বানাই না বদলে দেই জীবন” এই শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে ফেসবুকের এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটি। বিখ্যাত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বদলে যাওয়ার গল্প অনেক হতাশাপ্রবণ ব্যক্তিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করে। দেশ প্রেমিকের দেশ ভাবনা কাউকে দেশাত্মবোধে জাগ্রত করে। সেইসাথে পৃথিবীর অনেক ঘটনা স্থান থাকে যা রহস্য ঘেরা আর এইসব রহস্য ঘেরা অজানাকে জানার প্রবল ইচ্ছা থাকে। আর এসব সত্যিকারের গল্পটাই তুলে নিয়ে ভিডিও চিত্রে রুপ দেয় RMS MOTIVATION। আরএমএস মোটিভিশন বিশ্বাস করে- জীবন থেকে নেয়া সমাজের এসব গল্প নিয়ে ভিডিও চিত্র তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে সজাগ করতে সহায়তা করছে। এতে করে একদিকে যেমন সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি করে মানসিকভাবে নৈতিকতাও তৈরি হচ্ছে। এরমধ্য দিয়ে ভিডিও চিত্র থেকে শিক্ষা নিয়ে অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে অনুপ্রাণিত হচ্ছে।

[media type="image" fid="157409" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

কেনো প্রতিষ্ঠানটির প্রয়োজন পড়লো এ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো: সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে মানুষ বেশিরভাগ সময়ে তার স্মার্ট ফোনটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশি ব্যস্ত থাকেন আর তাই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে ভালো কিছু তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য। 

মানব কল্যাণে প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে কাজ করছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সমাজে অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলছে আর রোধ করার জন্যে আমাদের ইাতবাচক ভিডিও কনটেন্ট মানুষকে এ থেকে ভালো কিছুতে বা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা।

দর্শকদের ভালোবাসায় এরই মধ্যে RMS MOTIVATION এর ফেসবুক পেইজে তিন মিলিয়নের অধিক মানুষ যুক্ত রয়েছেন। যারা প্রতিনিয়ত প্রতিটি ভিডিওতে মূল্যবান কমেন্ট এবং বার্তা দিয়ে অণুপ্রাণিত করে থাকেন। আর এই প্রেরণা যোগাতে কাজ করনে একদল চৌকস কর্মী। যারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকেই।

ফেসবুকে RMS MOTIVATION এর বেশিরভাগ ভিডিওতে দর্শকদের আন্তরিকতায় কোটি কোটি দর্শক ছাড়িয়ে গেছে। অল্প সময়ে সারাদেশে এসব গল্পের জনপ্রিয়তা যেমন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের বাইরে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

RMS এর ভিডিও কনটেন্টের বিষয়বস্তু সমসাময়িক যা গণমানুষের কাছে অনেক মূল্যবান। আর এই ভিডিওগুলি মানুষকে আরও বড় স্বপ্ন দেখায় এবং আরও বড় করে চিন্তা করায়। মানুষকে অনুপ্রাণিত করে কোন খারাপ কিছু থেকে ভালো কিছুতে বেরিয়ে আসতে। সেইসাথে এগিয়ে যাওয়ার এবং পরিবর্তনের। প্রতিষ্ঠানটি অনুভব করায় ঘুণে ধরা সমাজে আলো আনাবার। আমাদের সমাজের আশেপাশের প্রত্যেকেই একটি পরিবর্তন সৃষ্টি করার মনোভাব থাকে শুধু তাদের দরকার একটি অনুপ্ররেণা। আর সেই প্রেরণা যোগাতে সহায়তা করে RMS MOTIVATION।

RMS MOTIVATION আগামীতে সুন্দর সমাজ ও জীবন গড়ে তুলতে উৎসাহিত করবে এমন উদ্দীপনা নিয়ে ফেসবুকে প্ল্যাটফর্মে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে যাবে। যাতে করে নতুন করে মোনুষকে বাঁচতে শেখায়, এবং বাঁচায়।