Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

মার্কা দিয়ে সড়কে চলার সুযোগ

প্রিন্ট সংস্করণ॥হাসান-উজ-জামান

মার্চ ১২, ২০১৯, ০৫:০৮ এএম


মার্কা দিয়ে সড়কে চলার সুযোগ

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিরপুর ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর, পল্লবী, রূপনগর, শিয়াল বাড়ি, দুয়ারীপাড়া, ইস্টার্ন হাউজিং, লালমাটি, বাউনিয়াবাঁধ, জুটপট্টিসহ ছোট ছোট সড়কগুলোয় সবমিলিয়ে ৯ হাজারের মতো অটোরিকশা চলাচল করে। এসব রিকশা থেকে আদায় করা চাঁদার একটি অংশ পায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয়ধারীরা। ট্রাফিক পুলিশও নিয়মিত পেয়ে থাকেন চাঁদার একটি বড় অংশ। সূত্র জানায়, পল্লবী, মিরপুর ১৩ নম্বরসহ আশপাশের এলাকায় চলে ৬ হাজার এবং রূপনগর ও আশপাশের এলাকায় চলে ৩ হাজার রিকশা। প্রতি রিকশা থেকে মাসিক ১২শ টাকা করে তোলা হয়। হিসেব মতে, মাসে এখান থেকে চাঁদা আদায় হয় কোটি টাকার ওপর। মাসে মাসে কার্ড বা মার্কা দেয়ারও নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। এক মাসের চাঁদা দিলে পরের মাসের জন্য দেয়া হয় কার্ড বা ভিন্ন মার্কা। যা দেখলে রাস্তার দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ তা ধরেন না। কখনো এসব রিকশা আটক হলেও তা ছাড়িয়ে নিয়ে যান যারা চাঁদা তোলার দায়িত্বে থাকেন তারাই। জনৈক ইকবাল হোসেন খোকন ওরফে জাসদ খোকন অটোরিকশাগুলোর চালকদের মধ্যে এ কার্ড বা মার্কা বণ্টনের দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা গেছে। তার রয়েছে আরও কয়েকজন সহযোগী। পল্লবীর অটোরিকশাগুলোতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেয়া হয়েছে ‘শহীদ মিনার’। জানুয়ারিতে ছিল ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। রূপনগর, শিয়াল, দয়ারীপাড়া, ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য মার্কা ছিল ‘২ ম’। জানুয়ারি মাসের জন্য মার্কা ছিল ‘১ ম’। এই মার্কা দেখেই ‘মাসোহারাভোগী’ ট্রাফিক কর্মকর্তা ও নেতারা বুঝতে পারেন, কোন অটোরিকশা কোন এলাকার এবং কোন মাসের চাঁদা দিয়ে চলছে। ভুক্তভোগী চালকরা বলেছেন, যুবলীগের স্থানীয় নেতা পরিচয়ধারী এক নেতা মার্কা দেন। মার্কা ছাড়া রিকশা মেইন রোডে উঠলেই পুলিশ ধরে। নিতে চায় ডাম্পিংয়ে। সূত্র মতে, পল্লবী ও মিরপুরের মধ্যে অটোরিকশার গ্যারেজ আছে ২শর মতো। লালমাটি, বাউনিয়াবাঁধ, বেগুনটিলা, ঝুটপট্টি এলাকায় চাঁদা তোলেন আড্ডু। এসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে পল্লবী থানার ৫নং ওয়ার্ড আ.লীগের এক নেতা। অনেক স্থানে রিকশা চার্জ দেয়ার জন্যও টাকা নেয়া হয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি- কেউ তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সংশ্লিষ্ট জোনের পুলিশ কর্মকর্তারাও বলছেন, পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।