Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

আসছে বৃহত্তর আন্দোলন

প্রিন্ট সংস্করণ॥রাসেল মাহমুদ

মার্চ ২৬, ২০১৯, ০৬:৪৫ পিএম


আসছে বৃহত্তর আন্দোলন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিতে গত সাত বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস মিললেও শেষ পর্যন্ত দাবি পূরণ হয়নি। তাই দাবি আদায়ে এবার বৃহত্তর আন্দোলন করতে চায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। আর বৃহত্তর এই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর সমর্থন চান সংগঠনটির নেতারা। আগামী ১২ ও ১৩ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৃহত্তর এ আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, আমাদের আন্দোলনে সব মহলের সমর্থন রয়েছে। ডাকসু নেতৃবৃন্দও বিভিন্ন সময় আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। আশা করছি, আমাদের পরবর্তী কর্মসূচিতে ডাকসুর ভিপি এবং জিএসকে পাশে পাবো।এদিকে ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীরা ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর এবং জিএস গোলাম রাব্বানীর সাথে দেখা করে তাদের সমর্থন চেয়েছেন। গত সোমবার দুপুরে আন্দোলনকারীদের দুটি প্রতিনিধি দল তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করে এই সমর্থন চান। এর আগে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি যৌক্তিক বলে মত দিয়েছিলেন তারা।এদিকে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই আন্দোলনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা বর্তমানে বেঁধে দেওয়া বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবং চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারের কাছে আরও জোরালোভাবে দাবি জানানোর লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী আগামী ১২ এপ্রিল থেকে ‘৩৫ চাই’ দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এতে ডাকসুর সহ-সভাপতি নুরুল হক নূর ও জিএস গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা। এ কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রচারণাও শুরু করেছেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে সবাই সাড়া দিচ্ছে। সোমবার দুপুরে ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুর হক নূরের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। আগামী ১২ ও ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে সার্বিক সহযোগিতা এবং তাতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’এছাড়া ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীদের আরেকটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসু সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর সমর্থন চাইতে যান। সোমবার দুপুরে তারা রাব্বানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি আদায়ে সার্বিক সহযোগিতা এবং সমর্থন দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এর আগে এই দাবিতে সমর্থন জানিয়ে গোলাম রাব্বানীও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড আইডিতে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীত করার দাবি আমার কাছে অত্যন্ত যৌক্তিক মনে হয়। আমি নৈতিকভাবে এই দাবিকে সমর্থন করি।’তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যাশা রাখি, লাখো বেকার ভাইবোনদের প্রাণের চাওয়াটি সরকার অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যদি চাকরিতে ৫৯ বছর বা অবসরের আগের দিন পর্যন্ত রাখতে পারে। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে পারবে না?’আন্দোলনকারীরা বলছেন, আশা করছি আগামী ১২ এপ্রিলের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। ডাকসু নেতারা সশরীরে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে অন্য আন্দোলনকারীরা উৎসাহ পাবেন। তাই তাদের অংশগ্রহণ আমরা মনেপ্রাণে প্রত্যাশা করছি।