Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

ছাড়পত্রের তোয়াক্কা না করেই ভবনের অনুমতি

প্রিন্ট সংস্করণ॥আব্দুল লতিফ রানা

মার্চ ৩০, ২০১৯, ০৬:৩৩ পিএম


ছাড়পত্রের তোয়াক্কা না করেই ভবনের অনুমতি

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ছাড়পত্রের তোয়াক্কা না করেই রাজউক অবৈধভাবে নির্মিত ভবনে বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে। ফলে একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। আর এসব অনৈতিক সুযোগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রাজউকের দুর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী। সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাততলা বা তার চেয়ে উঁচু ১৬ হাজার ৯৩০টি ভবন রয়েছে। আর সারা দেশে ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ৫ হাজার ২৪টি ভবন ফায়ার সার্ভিস থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে। অর্থাৎ ১১ হাজার ৯০৬টি ভবনের অগ্নিপ্রতিরোধের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র বা অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু বনানীর এফআর টাওয়ারের কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কাই করা হয়নি বা কোনোটিই নেই বলে জানা গেছে। এদিকে রাজধানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেছেন, ‘বনানী থানায় মামলা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায় অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’ গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার সড়কে ওয়ান-ওয়ে (একমুখী) যান চলাচলের ট্রাফিক পদ্ধতি উদ্বোধন শেষে এই তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার। অপরদিকে বানানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আবু হেনা মোস্তফা কামাল। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে সিএমএইচে তিনি মারা যান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে ভয়াবহ বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৬ জন হলো। সিএমএইচ হাসপাতালে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আবু হেনা মোস্তফা কামালের বয়স ৪০ বছর। তিনি এফআর টাওয়ারে হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। রাজধানীর পুরান কচুক্ষেত, ২২৩/এ নম্বর বাড়ি তাদের। তার বড় ভাই আহম্মেদ সিরাজুর রহমান হাসপাতাল থেকে তার লাশ গ্রহণ করেন। এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় আহতদের ৩৩ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন অগ্নিকাণ্ডগুলো নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সমপ্রতি সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডগুলো নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে কোনো নাশকতা আছে খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রতি আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর অডিটরিয়ামে ‘নিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা’ চকবাজার পরবর্তী প্রস্তুতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মেয়র এ আহ্বান জানান।সভায় মেয়র বলেন, ‘অনেক সময় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা সে বিষয়েও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’ জাতীয় অর্থনীতিতে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘নিরপরাধ কোনো জীবনহানি যেন না ঘটে, সেই বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। জীবনের বিনিময়ে কোনো ব্যবসা নয়। নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে নগর কর্তৃপক্ষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে ব্যবসায়ীরা যেন সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন এবং কোনো হয়রানির মধ্যে না পড়েন সেটা দেখা হবে।’ এছাড়াও অতি দাহ্য ৩৫টি আইটেম টিসিবির মাধ্যমে আনার জন্য অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেন মেয়র।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র বা অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু বনানীর এফআর টাওয়ার নির্মাণে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কাই করা হয়নি বা কোনোটিই নেই। গত জানুয়ারি মাসেও এই ভবন কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। গত বৃহস্পতিবার এই ভবনেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নোটিস দেওয়া ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)।শুধু এফআর টাওয়ারই নয়, রাজধানী ঢাকার প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বহুতল ভবন এমন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ভবনে অগ্নিনিরাপত্তাসংক্রান্ত ফায়ার সার্ভিসের কোনো ছাড়পত্র বা অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার (ফায়ার সেফটি প্ল্যান) অনুমোদন নেই। রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে ২০০৩ সালে অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ নামে একটি আইন করে সরকার। এই আইন অনুযায়ী রাজধানীর বহুতল ভবন নির্মাণে ফায়ার সার্ভিস থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। আর ওই ছাড়পত্র নিতে হলে ভবনের সামনে সড়কের প্রশস্ততা, নকশা অনুসারে ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা, ভবন থেকে বের হওয়ার বিকল্প পথ, কাছাকাছি পানির সংস্থান, গাড়ি ঢুকতে পারবে কি না— এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে ছাড়পত্রটি দেয় ফায়ার সার্ভিস। সূত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রের ভিত্তিতেই রাজউক থেকে ভবনের নকশার অনুমোদন নিতে হয়। এরপর ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করতে হয়। আবার নির্মাণকাজ আংশিক বা পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর ভবনটি ব্যবহারের জন্য আবার রাজউকের কাছ থেকে বসবাস বা ব্যবহারের সনদ নিতে হয়। এই সনদ দেওয়ার সময় আগে জমা দেওয়া নকশা অনুযায়ী ভবনটি নির্মিত হয়েছে কি না, তা দেখে রাজউক। কিন্তু বাস্তবে এই প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করে না রাজউক। ফলে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই নির্মিত হয় বহুতল ভবন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে করা এক জরিপ অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর এলাকায় সাততলা বা তার চেয়ে উঁচু ভবন আছে ১৬ হাজার ৯৩০টি। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ৫ হাজার ২৪টি ভবন ফায়ার সার্ভিস থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে। অর্থাৎ ১১ হাজার ৯০৬টি ভবনের অগ্নিপ্রতিরোধের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করা হয়নি।ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ছাড়া এত ভবন নির্মাণ হয় কীভাবে— জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ওয়্যারহাউস অ্যান্ড ফায়ার প্রিভেনশন) ওহিদুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের আইন অনুযায়ী ছয় তলার ওপর যেকোনো ভবনই বহুতল। আর রাজউকের আইন অনুযায়ী, ১০ তলা থেকে বহুতল ভবন। দুই আইনের এমন সাংঘর্ষিক অবস্থার কারণে ১০ তলার নিচের বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র চায় না রাজউক। ফলে এই ভবনগুলো অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই গড়ে উঠছে। রাজউক আর ফায়ার সার্ভিসের দুই আইনের সাংঘর্ষিক অবস্থার অবসান জরুরি বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, রাজউকের ইমারত নির্মাণের আইন দেখিয়ে ফায়ার সার্ভিসের আইনের ছাড়পত্রকে তোয়াক্কা না করেই তারা ভবন নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছে। তার পরও আমরা বারবার অভিযোগ দিয়ে আসছি, যাতে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ব্যতিত কোনো প্রকার ভবন নির্মাণের অনুমতি না দেওয়া হয়। অপরদিকে ২০০৩ সালের আগে যে ভবনগুলো নির্মিত হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার অনুমোদন নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভবনমালিক আবেদন করলে ফায়ার সার্ভিস থেকে সরেজমিন ভবনটি পরিদর্শন করে অগ্নিনিরাপত্তায় কী কী ব্যবস্থা রাখতে হবে, তার একটি পরামর্শ দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল মাত্র ২৮০টি ভবনকে অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলোর সবই অবশ্য শিল্প-কারখানার জন্য।রাজউক বনানীর এফআর টাওয়ারটির নকশার অনুমোদন দেয় ১৯৯৬ সালে। ফলে এই ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু পরে অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। তারা সেটাও করেনি। ফায়ার সার্ভিসের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিপ্রতিরোধের ব্যবস্থা না থাকায় গত ডিসেম্বরে ভবন কর্তৃপক্ষকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেনি। এরপর জানুয়ারিতে নোটিস দেওয়া হয়। তারপরও ভবন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সূত্র জানায়, গত ২০১৭ সালে রাজধানীতে ৩ হাজার ৭৮৬টি বিপণিবিতান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল, ক্লিনিক, আবাসিক হোটেল পরিদর্শন করেছিল ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৯টি ভবনই ছিল অতি ঝুঁকিপূর্ণ। আর ২ হাজার ৫৮৮টি ভবন ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। পরে প্রতিটি ভবন কর্তৃপক্ষকে অগ্নিপ্রতিরোধের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নোটিস দেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।ফায়ার সার্ভিসের অপর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘আইন অনুযায়ী আমাদের বিচারিক ক্ষমতা নেই, নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেটও নেই। এজন্য নোটিস দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। আর ভবনমালিক নোটিস অনুযায়ী কাজ না করলে তা রাজউককেও জানানো হয়। এরপর রাজউককেই ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরটির আরেক পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ভবনে ব্যবহার বা বসবাসের সনদ দেয় রাজউক। তাই কোনো ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধের ব্যবস্থা আছে কি না, তা রাজউককেই দেখতে হবে। কিন্তু ভবনমালিকদের বসবাস বা ব্যবহার সনদ নেওয়ার খুবই হতাশাজনক চিত্র পাওয়া গেছে। গত ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীতে প্রায় ৪০ হাজার ভবন তৈরি হয়েছে। অথচ বসবাস বা ব্যবহার সনদ নিয়েছে মাত্র ১৬২টি ভবন। তবে এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এখন এ বিষয়ে কাজ করার সময় এসেছে। আমরা বহুতল ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করব।’নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, ভবনে বসবাস বা ব্যবহার সনদ নেওয়া নিশ্চিত করতে পারলে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের এমন ঝুঁকির সৃষ্টি হতো না। এই সনদ পাঁচ বছর অন্তর নবায়ন করতে হয়। নবায়নের সময় ভবন নির্মাণের আগে জমা দেওয়া নকশা ও ভবনের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হয়।আর গরমিল পাওয়া গেলে বা অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকলে রাজউক সেই ভবন উচ্ছেদ কিংবা পুরো ভবনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে পারে।উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে বনানীর এফআর টাওয়ারের ৯ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নির্বাপণ করা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু ও ১৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর ভবনটির চারটি ফ্লোর ভষ্মীভূত হয়। আগুন নিভানোর পর ভবনটি পুলিশের নিরাপত্তায় রয়েছে।এব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপারিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেনের সেল ফোনে ফোন করা হলে তিনি একটি মিটিংয়ে থাকার কথা জানিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন।