Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

দৃষ্টিনন্দন স্বপ্নের খালেও ঝুঁকি!

প্রিন্ট সংস্করণ॥জাহাঙ্গীর আলম

নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৬:০৬ পিএম


দৃষ্টিনন্দন স্বপ্নের খালেও ঝুঁকি! কুড়িল, বিশ্বরোড, বারিধারা ও শাহজালাল বিমানবন্দরের জলাবদ্ধতা কমাতে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করে কুড়িল-পূর্বাচল পর্যন্ত ১০০ ফুট খাল দৃষ্টিনন্দন করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। কিন্তু কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উত্তর পাশে পুলিশ হাউজিং সোসাইটি বালু উত্তোলন করায় অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। এ জন্য বোয়ালিয়া খালের কাছে কয়েকটি স্থান হুমকির মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ হাউজিং সোসাইটির স্যুয়ারেজ লাইন বোয়ালিয়া খালে ডিসচার্জ করা হচ্ছে। এর ফলে বোয়ালিয়া খাল ভরাট হয়ে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। এই পথে উড়ালপথে মেট্রোরেল করায় স্টেশন বিল্ডিং ও র‌্যাম তৈরি করতে হবে। তাতে দৃষ্টিনন্দন খালের সমস্যা হবে। খালের অপর প্রান্তের মানুষের জন্য ১৩টি আর্চ ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও খালের অংশে শুধু পায়ে চলার পথ রাখা হয়েছে। ‘কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে চলামান (কুড়িল থেকে বালু নদ পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের এই হচ্ছে বাস্তব অবস্থা। আইএমইডির সরেজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাজউক। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, নতুন ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পূর্বাচল যাওয়ার আগেই পুলিশ হাউজিং সোসাইটি সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। কিন্তু রাস্তার উত্তর পাশ থেকে পুলিশ হাউজিং সোসাইটি কুড়িল-পূর্বাচল সার্ভিস রোডের বালু উত্তোলন করায় একাংশ দেবে গেছে, তা মেরামতের কাজ চলছে। এ ছাড়া ময়লা-আবর্জনা ও স্যুয়ারেজ লাইন এক হয়ে বোয়ালিয়া খালের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। তাতে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি পড়ছে বোয়ালিয়া খালে। সার্বিক ব্যাপারে জানতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার সংবাদকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক ভালো জানেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী এহসান জামিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের সব জমি বুঝে পাইনি। ১৪৫ একরের মধ্যে খালের অংশে মাত্র ৯০ একর অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখনো ৫৫ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। তাই পুরো জমি বুঝে না পেলে বলা যাবে না কোথায় কী হচ্ছে। কাজেই এখনো বলা যাচ্ছে না কোথায় কী হচ্ছে। আইএমইডির প্রতিবেদন প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে পিডি বলেন, ওই প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তা জানি। কিন্তু পুলিশ হাউজিং সোসাইটিতে এখনো বসবাস শুরু হয়নি। তাই স্যুয়ারেজ লাইন কিভাবে বোয়ালিয়া খালে পড়লো— বলে তিনি নিজেই প্রশ্ন করে বলেন, জনগণ বসবাস করলেই তো বোঝা যাবে যে ময়লা-আবর্জনা খালে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ হাউজিং সোসাইটি সার্ভিস রোডের ক্ষতি করলে তা দেখা হবে। সব মিলে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। বাকি কাজ সঠিক সময়েই ২০২১ সালে শেষ হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আকতার মাহমুদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ১০০ ফুট খালের জন্য বিশাল অর্থ ব্যয় করা হলেও কুড়িল-পূর্বাচল রুটে মেট্রোরেল করতে গিয়ে সেই খালের সৌন্দর্যহানি হবে বা বাধাগ্রস্ত হবে এটা স্বাভাবিক। কারণ মাঝপথে স্টেশন বিল্ডিং বা র্যাম অবশ্যই থাকবে। অন্য রুটের মতো আন্ডারগ্রাউন্ডে হলে এই সমস্যাটা হতো না। তিনি আরও বলেন, নতুন ঢাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য এই মাত্র একটা পথ বা সড়ক। তা পর্যাপ্ত নয়। এটা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে সরকারকে। অসময়ে বুঝলে সমস্যা তখন প্রকট হবে। আর যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড, শামসুল হক বলেন, অন্য রুটে পাতালপথে মেট্রোরেল হলেও অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের মাঝ দিয়েই মেট্রোরেল হবে। একে সাপোর্ট দেয়ার জন্য স্টেশন বিল্ডিংসহ অন্যান্য অবকাঠমোও করতে হবে। তাই কিছু সমস্যা বা খালের দৃষ্টিহানি হবে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, খালের পাশের লোকজনের জন্য যে আর্চ ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে তা ব্যবহার করতে পারলে ভালো। আর না পারলে জানতে হবে কোথায় গলদ থেকে গেছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় একসময় বিমানবন্দর, নিকুঞ্জ, বারিধারা, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে যেত। তাই ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এসব খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে সরকার ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট প্রশস্ত খাল খনন ও উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে এতে ব্যয় ধরা হয় পাঁচ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট বাস্তবায়নের জন্য সময় দেয়া হয়। বছরখানেক না যেতেই ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর বিশেষভাবে সংশোধন করে ব্যয় বাড়িয়ে প্রায় পাঁচ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। কাজও শুরু হয়। ২০১৫ সালের মূল প্রকল্পে কুড়িল-পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে ১০০ ফুট করে খাল খনন করতে ৯০ দশমিক ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তাতে চার হাজার ১৭৫ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণে নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ১০০ ফুট খালের খননকাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার আগেই গত বছরে প্রকল্পটির ব্যয় বাড়িয়ে চারগুণের মতো ২২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা প্রস্তাব করে রাজউক। পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলে কয়েকবার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা করে কমাতে বলা হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর সরকার শেষ পর্যন্ত ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা বা ১১০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে। সময় বাড়ানো হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ হিসেবে ধরা হয়েছে-কুড়িল থেকে বালু নদ পর্যন্ত চার লেনের সড়কটি ১২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ আট লেনে রূপান্তর করা হবে। এর দুই পাশে দুটি করে সার্ভিস লেনও থাকবে। এছাড়া হাতিরঝিলের আদলে ১৩টি আর্চ ব্রিজ (বাঁকানো সেতু) নির্মাণ করা হবে। যাতে পাশের এলাকার লোকজন মূল সড়কে ঢুকতে পারেন। এ ছাড়া পাতালপথ থাকবে চারটি। প্রকল্প এলাকায় চার কিলোমিটার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের লাইন, দুটি কালভার্ট, চারটি আন্ডারপাস, ১২টি ওয়াটার বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির অধীনে ১৩ দশমিক ৬৪৩ কিলোমিটার খাল, ১৩ কিলোমিটার সার্ভিস রোড, ৩৯ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, চারটি ইউলুপ। ছাড়া খালের উভয় পাশে ওয়াকওয়েসহ ১৩ কিলোমিটার ঘাস ও গাছ লাগানোর মাধ্যমে প্রকল্পটি দৃষ্টিনন্দন করা হবে। একই সঙ্গে নিকুজ্ঞ লেক উন্নয়ন এবং সৌন্দর্যবর্ধনও করা হবে। এসব কাজের জন্য মোট ১৪৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। সব কিছু ভালো করে দেখার জন্য ১৩ কিলোমিটার সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে। সংশোধিত প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে তিন খাল : সংশোধিত প্রকল্পে তিনটি খাল যুক্ত করা হয়। কারণ বর্ষা মৌসুমে নিকুঞ্জ, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, জোয়ারসাহারা, সেনানিবাস, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর, কাওলা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ১০০ ফুট খালটি খননের উদ্যোগ নেয়া হলেও কিন্তু বাস্তবে বিশাল এলাকার জন্য তা সম্ভব নয়। এ জন্য নতুন করে ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল তিনটি যুক্ত করা হয়েছে। হোটেল লা মেরিডিয়ানের পেছনের এডি-৮ খালের সঙ্গে যুক্ত বোয়ালিয়া খাল। খাল দুটির বড় অংশ ভরাট হয়ে গেছে। এছাড়া ডুমনি এলাকার ডুমনি খালটিও সংস্কার করা হবে। এই খালটিও প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। এই খালটি পাশের কাঁঠালিয়া খালের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ডুমনি খালের পানিও বালু নদ পর্যন্ত যাবে। চলমান এই প্রকল্পের সার্বিক কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি-না তা দেখতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ৩ আগস্টে সরেজমিন পরিদর্শন করলে বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়ে। পরিদর্শনের সময় পিডিসহ বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে একটি প্রতিবেদনও তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে— ৯০ একর জমির মধ্যে জোয়ারসাহারা মৌজায় ৪২ দশমিক ৯৬ একর, বরুয়া মৌজায় ১৩ দশমিক ৩ একর, ডুমনি মৌজায় প্রায় ২১ একর ও মাস্তল মৌজায় ১৩ একর সব মিলে ৯০ দশমিক ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণে চার হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা ঢাকা জেলা প্রশাসককে দেয়া হয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমিতে ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উত্তর পাশে পুলিশ হাউজিং সোসাইটি বালু উত্তোলন করায় সার্ভিস রোডের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। এ জন্য বোয়ালিয়া খালের কাছে পূর্বাচল লিংকরোর্ডে কয়েকটি স্থান হুমকির মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ হাউজিং সোসাইটির স্যুয়ারেজ লাইন বোয়ালিয়া খালে ডিসচার্জ করা হচ্ছে। এর ফলে বোয়ালিয়া খাল ভরাট হয়ে ভবিষতে সমস্যা হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে প্রকল্প এলাকায় ১৩টি আর্চ ব্রিজের মধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব রেখে আটটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু খালের অপরপ্রান্তের মানুষের জন্য এই ব্রিজ করা হলেও খালের অংশে শুধু পায়ে চলার পথ রাখা হয়েছে। কোনোরূপ সার্ভিস রোর্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। জনসাধরণ কোনো যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না। এর ফলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। তবে ডুমনি খাল ও এজি-৮ খালকে সম্পৃক্ত করতে ২৫ হাজার ৮০০ পাইল নির্মাণ করা হয়েছে। এই রুটেই এমআরটি প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার সম্প্রতি এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ায় খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। কিন্তু মাটির উপর দিয়ে বা উড়ালপথে এই মেট্রোরেল হওয়ায় ১০০ ফুট দৃষ্টিনন্দন খালের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ এই পথে মেট্রোরেল করায় বিভিন্ন স্থানে স্টেশন বিল্ডিং ও র্যাম তৈরি করতে হবে। তাতে দৃষ্টিনন্দন খালের সমস্যার সৃষ্টি হবে বলে পিডি জানান। এখনো মাঝপথেই দৃষ্টিনন্দন খালের উন্নয়ন কাজের। তাই আইএমইডি থেকে সুপারিশ করা হয়েছে পুলিশ হাউজিং সোসাইটির মাটি তোলায় সার্ভিস রোর্ডের যে সব এলাকা ভেঙে গেছে তা দ্রুত মেরামত করে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে বোয়ালিয়াখালটি যেনো ভরাট হয়ে ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ১২ শতাংশ। আর্চ ব্রিজের ৩৩ শতাংশ। ১২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, কালভার্ট, ওয়াটার বাস স্টপ ও আন্ডারপাশের কাজও এখনো শূন্যের কোটায়। তবে বাউন্ডারিওয়াল পুরোটাই প্রায় ১৩ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে। রক্ষাপ্রদ কাজ মানে কংক্রিটের পাইল ৮০ শতাংশ এবং স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণ হয়েছে ৯৩ শতাংশ। সব মিলে প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। এসটিএমএ