Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

পদকে পথ পরিবর্তন পুলিশ সদরদপ্তরের

প্রিন্ট সংস্করণ॥নুর মোহাম্মদ মিঠু ও কাজী ইহসান বিন দিদার

ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯, ০৭:১২ পিএম


পদকে পথ পরিবর্তন পুলিশ সদরদপ্তরের সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারো পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে চারটি ক্যাটাগরিতে পদক দেয়া হবে। মর্যাদাপূর্ণ এই পদকের সংখ্যা গত দুই বছর ধরে অব্যাহত হারে বেড়েছিল, যে কারণে সমালোচনা হয় ব্যাপক। কিন্তু চলতি বছরে এ সংখ্যা আবার গত দুই বছরের তুলনায় অনেকটাই কম, এ নিয়েও ফের সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে পদক সংখ্যায় এমন পরিবর্তন তার সঠিক কারণও জানা যায়নি সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। বাহিনীতে বিশেষ ভূমিকার কারণে গত বছর ৩৪৯ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেয়া হলেও এ বছর এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১৮-তে। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, এবার যারা সত্যিকার অর্থেই পদক প্রাপ্তির দাবিদার তাদেরই দেয়া হচ্ছে। এদিকে প্রতিবছরের শুরুতেই পুলিশ সপ্তাহের আয়োজনে বাহিনীটির প্রধান আকর্ষণ থাকে সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে পুলিশ সদস্যদের পদক প্রদান। বছরজুড়ে ভালো কাজ, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণ এবং সাহসকিতাপূর্ণ কাজের জন্যই চারটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক- পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা পদক দেয়া হয়। মর্যাদাপূর্ণ এই পদকের সংখ্যা গত দুই বছর ধরেই হুট করে অব্যাহত হারে বাড়ানো হলেও এবার সে ধারা থেকে বেরিয়ে নিজেদের পথ পরিবর্তন করেছে পুলিশ সদরদপ্তর। আর এর ফলেই এবার মাত্র ১১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। যার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন ভাগের একভাগ। শুধু তাই নয়, এবার পদক দেয়ার ক্ষেত্রে দু-একটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া গত বছর যারা এই পদক পেয়েছেন তাদেরও তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ১১৮টির মধ্যে ৩০টিই পেতে যাচ্ছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা। এর মধ্যে ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা পাচ্ছেন ১৫টি পদক। ডিএমপির পরের অবস্থানে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। র্যাবে কর্মরত ১৮ জন পেতে যাচ্ছেন বিপিএম-পিপিএম পদক। এছাড়া পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ১২ জন পদক পেতে যাচ্ছেন, পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমারসহ পাঁচজন পাবেন পদক। পুলিশ সদরদপ্তর সূত্র জানায়, এবার যাচাই-বাছাই করেই পদক দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ১২০ জনের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ এই পদক দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদক প্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেবেন বলে জানা যায়। সূত্রটি জানায়, অ্যাডিশনাল আইজি মঈনুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের পদক কমিটি তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ করেছে। গেজেট প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত চূড়ান্ত করে কিছু বলা যাবে না। তবে দু-একদিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হবে। এদিকে গত সোমবার পদকপ্রাপ্তদের প্যারেডে অংশ নেয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) হায়দার আলী খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১১৮ জনকে বেলা ৩টার সময় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সদরদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, গত বছর রেকর্ড সংখ্যক এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিল একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে। এছাড়া গত বছর রেকর্ড সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে পদক দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার কারণে এবার এই সংখ্যা একশর মধ্যে সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পদক পাচ্ছেন যারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ : ডিএমপির উপ-কমিশনার জামিল হাসান, উপ-কমিশনার শ্যামল কুমার মুখার্জী, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান, ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ, ডিবি দক্ষিণের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ, ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আর এম ফয়জুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরিফুল ইসলাম, ডিবি পূর্ব বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আতিকুল ইসলাম, ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, ডিএমপির গেন্ডারিয়া থানার ওসি সাজু মিয়া, ডিএমপির আরওআই কাইয়ুম শেখ, শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান, ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম, শ্যামপুর থানার এসআই সোহাগ চৌধুরী ও এএসআই মাসুম বিল্লাহ। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট : উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মিশুক চাকমা, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এস এম নাজমুল হক, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজা লিজা, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহসান হাবীব, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার অহিদুজ্জামান নুর, সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, এসআই আশুতোষ শীল, এএসআই সোলাইমান হোসেন, নায়েক মোহাম্মদ রাসেল মিয়া ও কনস্টেবল সালমান হাজারী। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন : র‌্যাব মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, সদরদপ্তরের লে. কর্নেল মীর আসাদুল আলম, পরিচালক (গোয়েন্দা) লে. কর্নেল মাহাবুব আলম, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ, র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ, র‌্যাব-২ এর পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার মেজর শাহীন আজাদ, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের উপ-পরিচালক মেজর এস এম সুদীপ্ত শাহীন, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার মেজর মনিরুল ইসলাম, মেজর মাহমুদ হাসান তারিক, র‌্যাব-৮ এর মেজর খান সজিবুল ইসলাম, র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদ আহম্মেদ, র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন ও সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম ও র‌্যাব-১ এর সৈনিক রাকিব হোসেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি মহাবুবুর রহমান ভুইয়া, এআইজি এ এফ এম আনজুমান কালাম, এআইজি তামান্না ইয়াসমীন, এআইজি মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, এআইজি মিলন মাহমুদ, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল হুদা আশরাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ রাজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম, পরিদর্শক জিয়াউর রহমান ও এসআই সোহাগ মিয়া। স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ : এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, বিশেষ পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, বিশেষ পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম মিয়া, পুলিশ পরিদর্শক কাওছার আহম্মেদ, পরিদর্শক ইউনুস আলী শেখ, এসআই মনিরুজ্জামান ও এএসআই মোহাম্মদ মোহন মিয়া। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন : পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, পিবিআই ফেনী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পিবিআই গাজীপুর জেলার পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ও পিবিআই ফেনী জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম। এছাড়া তালিকায় আছেন, র‌্যাব পুলিশের খুলনা রেঞ্চের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, নৌপুলিশের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, ১১ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহীন আমীন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ- জিএমপির উপ-কমিশনার কে এম আরিফুল হক ও জিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মনজুর রহমান, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আরিফুর রহমান মণ্ডল। এছাাড়া নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ফাহিম, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান, এসএসএফের এএসপি মিরাজুল ইসলাম, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, বরিশাল হিজলা নৌপুলিশের পরিদর্শক বেলাল হোসেন, শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান, বাগেরহাটের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। এছাড়া চট্টগ্রামের রাউজান থানার ওসি মোহাম্মদ কেপায়েত উল্লাহ, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ- সিএমপির পুলিশ পরিদর্শক রাজেসব বড়ুয়া, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম আব্দুর রহমান মুকুল, সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন, চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, রংপুরের তাজহাট থানার এসআই মামুনুর রশীদ, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই আক্রাম হোসেন, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ফিরোজ সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই ইসমাতারা। এছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ইয়াছিন আরাফাত, মানিকগঞ্জ সিংগাইর থানার এসআই আল মামুন, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই জুলহাজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ তাড়াইল থানার এসআই রাজীব আহম্মেদ, টাঙ্গাইল দেলদুয়াল থানার এসআই হারুন অর রশিদ, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ওয়াদুদ আলী, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই বিলায়েত হোসেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মাইনুল ইসলাম, বগুড়া শেরপুর থানার এএসআই নান্নু মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবির এএসআই বিকাশ চন্দ্র সরকার, বগুড়া ডিবির এএসআই রানা হামিদ। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এএসআই আনোয়ার হোসেন, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওয়ান এএসআই মরহুম আক্তার হোসেন, ঝিনাইদহ জেলার এএসআই শরিফুল ইসলাম, নৌপুলিশ ঢাকার কনস্টেবল জীবন সিকদার ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ৬ এপিবিএনের কনস্টেবল ফয়সাল আহমেদ। এসটিএমএ