Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

বেসরকরি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা নিয়ে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৮, ২০২০, ০৮:১৩ এএম


বেসরকরি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা নিয়ে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ১৯ হাজার ৭৩২ জন বেসরকরি শিক্ষকের অবসর সুবিধা প্রাপ্তির বিষয় নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। ২০১৮ সাল থেকে করা এইসব আবেদন নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াধীন বলেও মন্ত্রী জানান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তরে মুহিবুর রহমান মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। সংসদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। দীপু মনি আরো জানান, দ্রুততার সাথে এই সকল আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড’ এর অনুকূলে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থ অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের অবসর সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তি করার জন্য ইতিমধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা অনুদান এবং ৫০০ কোটি টাকা এনডাওমেন্ট ফান্ড হিসেবে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫০ কোটি টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৩২ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে মন্ত্রণালয় থেকে প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত করা সকল আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়া আছে। আরো পড়ুন: এমপিওভুক্ত হচ্ছে আরো ৫৫৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি দলের সদস্য আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, দেশে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার সংখ্যা ৭ হাজার ৬২৪টা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরও ৫৫৬টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়াধীন আছে।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশেব বর্তমানে এমপিওবিহীন মাদ্রাসার সংখ্যা ১ হাজার ৯১২টি। এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮১২ জন, ছাত্রী এক লাখ ১৮ হাজার ৫১ জন। এমপিওবিহীন মাদ্রাসায় ছাত্র সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৭২৪ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৮৭ হাজার ৮৯ জন।’ তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) জন্য তালিকায় যেসব স্কুল-কলেজের নামে বিতর্কিত স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম আছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করা হবে। এমপিওভুক্তির জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে বিতর্কিত কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তির নাম রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে এবং মানবতাবিরোধীদের বিচারকাজ যখন চলমান, তখনো দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে এখনো এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান মন্ত্রী। জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে দীপু মনি জানান, মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণিতে গ্রুপ বা বিভাগ না রাখার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এক্ষেত্রে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী একই বিষয়ে পড়ালেখা করে ভিতকে মজবুত করবে। এরপর একাদশ শ্রেণি থেকে গ্রুপ বা বিভাগভিত্তিক লেখাপড়া করবে তারা। একই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক বিষয়স্তু অষ্টম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং নবম-দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে শিক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নিয়োগে দেরি হওয়ার কারণে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করা যায়, অবিলম্বে শিক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সংসদে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। সরকারি দলের সাংসদ জাফর আলমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন প্রজন্মকে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করে এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সমমানের উচ্চশিক্ষা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষতায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণায় গৃহীত পরিকল্পনার আওতায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের অর্থায়নে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নন-লিনিয়ার অপটিকস গবেষণায় ক্যানসার শনাক্তকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ প্রতিরোধে কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাটকাঠি থেকে টেকসই পার্টিকেল বোর্ড উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবিত বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তির স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাসঙ্গিকতা থাকায় পর্যায়ক্রমে এগুলোর জন্য পেটেন্ট আবেদন দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে। আমারসংবাদ/জেআই