Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

ছাত্রনেতা থেকে জননেতা টোটন

ইসলাম রকিব, চুয়াডাঙ্গা

আগস্ট ১৮, ২০২০, ০২:৫৯ পিএম


ছাত্রনেতা থেকে জননেতা টোটন

রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আশির দশকে ছাত্রলীগের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন টোটন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নানামুখী নির্যাতনেও অবিচল ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের পথে। রাজনীতির নানা ঘাত-প্রতিঘাত পাড়ি দিয়ে ছাত্রনেতা থেকে আজ হয়েছেন জননেতা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জন্মগতভাবেই আওয়ামী পরিবারের সন্তান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। তিনি আশির দশকে ছাত্রলীগের হাত ধরে রাজনীতি শুরু করেন। এর এক বছর পর নির্বাচিত হন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের কমন রুম সম্পাদক। দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভ করেন টোটন। ২০১৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সফল মেয়র।

চুয়াডাঙ্গার আওয়ামী রাজনীতিতে দুর্বারগতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ছোট ভাই রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। বৈশ্বিক মহামারিতে ছিলেন সম্মুখযোদ্ধা। অসহায়, দরিদ্র, দিনমজুর, শ্রমজীবী, নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের বাড়ি বাড়ি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। তার এমন কার্যক্রমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পুরো জেলাজুড়ে। তাই আগামীতে টোটনকে এই আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চান স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টোটন আমার সংবাদকে বলেন, আমার একমাত্র অভিভাবক আমার বড় ভাই সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার। তিনি যতদিন চাইবেন ততদিন তিনি এমপি হিসেবে জনগণের সেবা করবেন। আমি তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণের সেবা করে চলেছি। তিনি যদি মনে করেন আমাকে এমপি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষের পাশে থাকা দরকার তখনই আমি রাজি, এর আগে নয়।  

ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমার ভবিষ্যৎ কি হবে আমি জানি না। আমার জন্ম একটি রাজনৈতিক ও ক্রীড়া সংগঠক পরিবারে। সে পরিবার থেকেই আমি পেয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা। আমার রক্তে বইছে খেলাধুলা ও রাজনৈতিক ধারা। আর এ কারণেই আমি জনগণের দুর্দিনে বা দুঃসময়ে ঘরে বসে থাকতে পারি না। যতদিন আল্লাহ ভালো রাখবেন, সুস্থ রাখবেন ততদিন সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।