Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

অপপ্রয়োগ বাড়ছেই ডিজিটাল আইনের

শরিফ রুবেল

অক্টোবর ৩, ২০২০, ০৬:১৮ পিএম


অপপ্রয়োগ বাড়ছেই ডিজিটাল আইনের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। ডিজিটাল মাধ্যমে অপকথা, মিথ্যাচার, অপপ্রচার, সম্মান ও মর্যাদাহানি কিংবা ব্ল্যাকমেইল নিয়ন্ত্রণে আইনটি পাস করা হলেও দিন দিন এর অপপ্রয়োগ বাড়ছেই। অপপ্রয়োগের হাত থেকে পাঁচ বছরের শিশু থেকে ৮৫ বছরের বৃদ্ধও রেহাই পাচ্ছেন না। জড়িয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, ছাত্র, বুদ্ধিজীবীরাও।

বিগত বছরের চেয়ে চলতি বছরের ছয় মাসে এ আইনে মামলার সংখ্যাও আশঙ্কাজনক বেড়েছে। যা সচেতন মহলে রীতিমতো উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ-ধর্ম ভেদে অনেক নিরপরাধ এই আইনের অপপ্রয়োগের ফলে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। যেনো ভোগান্তির খড়গে পরিণত হয়েছে আইনটি। অধিকাংশ মামলা করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ।

মামলা হলেই গ্রেপ্তার ও রিমান্ড। অভিযোগ তদন্ত করে খতিয়ে পর্যন্ত দেখা হচ্ছে না। আইনেও পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ১৪টি ধারাই অজামিনযোগ্য। আর এ সুযোগটিই পূর্ণভাবে কাজে লাগাচ্ছে মামলাকারিরা।

মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলেও মামলাবাজের বিরুদ্ধে নেই কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ। এমনকি সংক্ষুব্ধ নয় বা সংক্ষুব্ধ হওয়ার সুযোগ নেই, এমন ব্যক্তিও অন্যের পক্ষে মামলা করছেন।

মানহানি হচ্ছে একজনের, মামলার বাদি হচ্ছেন অন্যজন। আবার একই ঘটনায় একাধিক জেলায় মামলা হওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। কখনো কখনো আবার পুলিশই মামলার বাদি হচ্ছে। এতে আইনেরও ব্যত্যয় ঘটছে। তবুও থামছে না হয়রানিমূলক মামলা।

এদিকে গত ১৯ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩, ২৮, ২৯ ও ৩২ ধারা কেন সংবিধান পরিপন্থি ও অবৈধ হবে না  চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ঝুলে আছে এখনো।

প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারা কেন অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।

সেই সাথে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বললেও দীর্ঘ আট মাস পেরিয়ে গেলেও ওই রুলের জবাব মেলেনি। এখনো রুলের শুনানি হয়নি। কবে শুনানি হবে সেটাও জানা নেই সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অনেক ক্ষেত্রে শুধু হয়রানির উদ্দেশ্যেই মামলা করা হয়। আইসিটি আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার বেশির ভাগেরই অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ আইনের বেশ কিছু  ধারা সংবিধানের ৩১ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আদালতও ২৫ ও ৩১ ধারা কেন বেআইনি এবং সংবিধান পরিপন্থি হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন।

তাদের দাবি, ডিজিটাল আইনের অপব্যবহারের প্রকৃত চিত্র আরো ভয়াবহ। এভাবে আইনের প্রয়োগ এবং অপব্যবহার অসহিষ্ণুতার লক্ষণ। তাই এই আইন বিলুপ্ত হওয়া উচিত। তাদের মতে, অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কথা বলা ও তথ্য প্রকাশে কণ্ঠরোধ করার যে প্রক্রিয়া চালু হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়।

তাই এই আইন বাতিল বা সুরক্ষার বিধান করা উচিত। বাক-স্বাধীনতার সাথে এই আইন সাংঘর্ষিক। তাই লেখালেখি, মত প্রকাশের বিষয়গুলো এই আইনের বাইরে নেয়া উচিত। সব বিবেচনায় যদি আইনের বিলুপ্তি অসম্ভব হয় তবে বিপজ্জনক ধারাগুলো বাদ দিতে হবে। নয়তো এর অপব্যবহার রোধ অসম্ভব।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যখন পাস হয় (২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর) তখন সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন এবং মানবাধিকার সংস্থার তরফে এই মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, এই আইনের এমন কিছু ধারা আছে, যা বাক-স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের জন্য হুমকিস্বরূপ। সংবিধানের সঙ্গেও কিছু ধারা সাংঘর্ষিক।

এ আইনের অপব্যবহারের আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয় এবং ২৫ ও ২৯ সহ চিহ্নিত ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানানো হয়। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, আইনের কোনো অপব্যবহার হবে না। কিন্তু বাস্তবে এ আশ্বাসের কোনো কার্যকারিতা লক্ষ করা যায়নি। এই আইনে যথেচ্ছ মামলা হয়েছে, যার অধিকাংশই হয়রানিমূলক বলে অভিহিত। দু’বছরে মামলার সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।

যে ধারার বেশি প্রয়োগ হচ্ছে : সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ডিজিটাল আইনের ২৫, ২৮ ও ২৯ ধারায় মামলা বেশি হয়। এই ধারাগুলো মানহানি, ধর্মের অবমাননা এবং গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি করার অপরাধ। কিন্তু এইসব অপরাধ সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা নেই। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ডিজিটাল আইনে  জামিনেরও বিধান নেই।

পুলিশও মামলা করতে পারে। তাই এমন অপপ্রয়োগ হচ্ছে, যা আমরা শুরুতেই বলেছিলাম। তাই এই আইন বাতিল বা সুরক্ষার বিধান করা উচিত। বাক-স্বাধীনতার সাথে এই আইন সাংঘর্ষিক তাই লেখালেখি, মত প্রকাশ বিষয়গুলো এই আইনের বাইরে নেয়া উচিত। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে নাগরিকদের সত্যিকারের হয়রানি ও মানহানির প্রতিকারের ব্যবস্থাও থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

মামলার পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর দুই বছরে এ আইনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে অন্তত ৫০টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৭ জন সাংবাদিককে।

এখন পর্যন্ত এ আইনে মামলার সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ৭৩৪টি মামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন থানায় করা আরও ৩৩০টি মামলা বিচারের জন্য এ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

এসব মামলার মধ্যে বেশির ভাগই হয়েছে আইনটির ২৫ ও ২৯ ধারায়। মূলত রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং মানহানির অভিযোগে এ দুটি ধারায় মামলাগুলো হয়েছে। এ আইন হওয়ার আগে একই রকম অভিযোগে মামলা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারায়।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কেবল ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা হয়েছে ৪৬৮টি। আর চলতি বছরের গত আট মাসে মামলা হয়েছে ২২০টি। অবশ্য এ ২০ মাসে উপাদান না থাকায় ৩২৯টি মামলা সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছর সারা দেশে ৭৩২টি মামলায় এক হাজার ১৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের প্রথম দুই (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) মাসে ১৬৫ মামলায় ৩৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া সবচেয়ে বেশি এ আইনে মামলা হয়েছে করোনা মহামারির সময়। করোনা নিয়ে ‘গুজব’, মন্ত্রী, এমপি বা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ ফেসবুকে স্ট্যাটাস, ‘মিথ্যা তথ্য ছড়ানো’, চিকিৎসা নিয়ে সমালোচনা, ‘ত্রাণ চুরির মিথ্যা খবর’, ধর্মের অবমাননা, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার’, ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি, পুলিশে ঘুষের ঘটনাসহ নানা অভিযোগে সাংবাদিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেছেন পুলিশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বা তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে প্রখ্যাত আইনজীবী শাহদীন মালিক বেশ কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি আমলে ২০০৬ সালে প্রণীত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মানহানি ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া সংক্রান্ত ধারাগুলো একই উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আইনটি সরকার বা সরকারদলীয় ব্যক্তিদের সমালোচকদের বিরুদ্ধে বেশি প্রয়োগ হচ্ছে।

বেশির ভাগ অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে না : আগের আইসিটি আইন ও বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা সারা দেশের মামলাগুলোর বিচার হচ্ছে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে। এ আদালতে এ পর্যন্ত বিচারের জন্য মামলা এসেছে দুই হাজার ৬৮২টি।

এর অর্ধেকের বেশি আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলা। বর্তমানে এ ট্রাইব্যুনালে এক হাজার ৬৯২টি মামলা বিচারাধীন, যার মধ্যে ১২টির বিচারকাজ চলছে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে। উচ্চ আদালতের আদেশে বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে ৩১টির।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এ দুই আইনে করা বেশির ভাগ মামলা টিকছে না। ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে গত সাত বছরে ৯৯০টির মতো মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চারশর বেশি মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি হয়।

এছাড়া অনেক মামলায় অভিযোগ গঠনের উপাদান না থাকায় আসামিরা অব্যাহতি পেয়েছেন। তথ্য-উপাত্ত বলছে, কেবল ২৫টি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে। এর ২৪টি আইসিটি আইনের ও একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা।

মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে : ২০১৩ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠানো মামলার সংখ্যা ছিলো তিনটি। ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩টি। পরের বছর মামলা আসে ১৫২টি। ২০১৬ সালে আসে ২৩৩টি।

এই সংখ্যা পরের বছর দ্বিগুণের বেশি, ৫৬৮টি। ২০১৮ সালে ৬৭৬টি, ২০১৯ সালে ৭২১টি ও চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারের জন্য আসা মামলার সংখ্যা ২৯৬টি। অর্থাৎ সাত বছরের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিচারের জন্য আসা মোট মামলা দুই হাজার ৬৮২টি।

বেশি মামলা হয় ২৫ এবং ২৯ ধারায় : ২০১৩ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু হয়। ওই বছরের তিনটি মামলাই ছিলো আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায়। পরের বছরের ৩৩টি মামলার মধ্যে ২৫টি মামলাই ছিলো ৫৭ ধারায়।

৫৭ ধারা বাতিল করে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর এ আইনে করা বেশির ভাগ মামলা হচ্ছে ২৫ ও ২৯ ধারায়। সাইবার ট্রাইব্যুনালে সারা দেশ থেকে বিচারের জন্য আসা ৩৩০টি মামলার মধ্যে দুই শটির বেশি হয়েছে ২৫ ও ২৯ ধারায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী, ওয়েবসাইটে আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শন, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত বা হেয়প্রতিপন্ন করা, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করা, মিথ্যা বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তথ্য প্রচার করা অপরাধ। আর ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রচার করা ২৯ ধারার অপরাধ।

আর আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় বলা ছিলো, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সমপ্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়া হয়, তা হবে একটি অপরাধ।’

আমারসংবাদ/এসটিএম