Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

মাগুরার উন্নয়ন-সেবায় তিন গুণীজন

মিরাজ আহম্মেদ, মাগুরা

অক্টোবর ২৩, ২০২০, ০৭:২৫ পিএম


মাগুরার উন্নয়ন-সেবায় তিন গুণীজন

সামপ্রতিক মাগুরা জেলায় অবকাঠামো উন্নয়নমূলককাজ ও মানবিকসেবায় অগ্রভাগে তিন বিশেষ ব্যক্তির নাম উঠে আসে এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে। মাগুরা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি খুলনা বিভাগের একটি অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা।

রাজধানী ঢাকা থেকে মাগুরার দূরত্ব ১৭৬ কিলোমিটার। সাধারণত মাগুরা থেকে ঢাকা যেতে আনুমানিক পাঁচ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়। মাগুরায় কোনো ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। অল্প সময়ের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ চালু হবে এ জেলায় সেই অপেক্ষায় মাগুরাবাসী।

স্থায়ীন সূত্র মতে, ৮১৬ কোটি টাকায় মাগুরা-নড়াইল মহাসড়ক উন্নয়ন প্রক্রিয়াধীন প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মাগুরা-নড়াইলের আঞ্চলিক মহাসড়কের বাঁক সোজা করাসহ মান বাড়ানো হবে। এ জন্য ৮১৬ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি খরচ হবে মাগুরা-নড়াইল (আর-৭২০) আঞ্চলিক মহাসড়কের বাঁক সরলিকরণসহ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণে’ প্রকল্পের আওতায় এই কাজে।

সূত্রে জানা যায়, বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ওপর গত বছরের ২৭ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়।

পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৮১৬ কোটি ২০ লাখ ২৩ হাজার টাকা পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ প্রকল্পটি অনুমোদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে। এসব উন্নয়নকাজ নিরলসভাবে করে চলছেন মাগুরা এক আসন এমপি, অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর।

সমপ্রতি মাগুরা-যশোর চারলেন প্রস্তাবিত কর্মসূচি হলেও চারলেন নির্মাণের আগে প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করবে সরকার। এর পরই শুরু হবে মূল কাজ। ৫৫ দশমিক ২৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ৫১১ দশমিক ৭২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এ খাতে ব্যয় হবে এক হাজার ৯৮৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করেই চারলেন নির্মাণকাজ শুরু করবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে একদিকে যেমন দেশের উন্নয়ন হবে অন্যদিকে যান চলাচল বাড়বে। ফলে মাগুরা যশোর বেনাপোল খুলনার পাশাপাশি যশোর-মাগুরা সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে, কমবে যানজট। ঢাকা থেকে আগত মাগুরা, যশোর, সাতক্ষীরা, বেনাপোল, খুলনাগামী বাস-ট্রাক ও মালামাল পরিবহনে সময় অপচয় কম হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।

এছাড়াও মাগুরা জেলায় উন্নয়নমূলক কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে— স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), মাগুরা ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ এক হাজার ১৮৫ মিটার, নতুন পাকা সড়ক নির্মাণ ২৭৮.৮৬ কি.মি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ পুনঃনির্মাণ ১৫১টি, উপজেলা সার্ভার স্টেশন নির্মাণ তিনটি, অসচ্ছল ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ ২৪টি, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ একটি, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ ছয়টি।

হাট-বাজার উন্নয়ন নির্মাণ পাঁচটি। পল্লী সড়ক ও কালভার্ট মেরামত কর্মসূচি ৪৬৩.৭০৩ কি.মি, পল্লী অবকাঠামো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও বৃক্ষ পরিচর্যার জন্য দুস্থ ও গরিব নারীদের কর্মসংস্থান ৫৪০ জন, রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ ১৪ কি.মি (১৯,৯৯৫টি), প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ-পুনঃনির্মাণ ১০টি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণ তিনটি, অসচ্ছল ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ একটি।

ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ দুটি, পল্লী সড়ক ও কালভার্ট মেরামত কর্মসূচি ৭০.৩১ কি.মি, পল্লী অবকাঠামো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও বৃক্ষ পরিচর্যার জন্য দুঃস্থ ও গরিব নারীদের কর্মসংস্থান ৩৬০ জন, রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ ১৮.২৭ কি.মি।

এছাড়াও অ্যাড সাইফুজ্জামান শিখরের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রণয়ন হয়। মহম্মদপুর উপজেলার এ্যালাংখালী ঘাটে মধুমতি নদীর উপর ৬০০.৭০ মি. দীর্ঘ পিসি ব্রিজ নির্মাণ। মঘি ইউপি অফিস থেকে দাঘবদাইড় বাজার ভায়া ধনবাড়ি, আন্দলবাড়িয়া রাস্তায় ৮৮০০ মিটার চেইনেজ ফটকি নদীর ওপর ১০০.১০ মি. দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। পারণান্দুয়ালী বেপারীপাড়া খেয়াঘাট-জেটিসি গোডাউন ঘাটে নবগংগা নদীর উপর ১০০.১০ মি. দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলাধীন তিনটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ।

এলাকাভিত্তিক উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প/কাজ : আর্থিক ভৌত উপজেলা সার্ভার স্টেশন নির্মাণ-একটি, কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র (টিটিসি) নির্মাণ একটি, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, পুলিশ সুপারের অফিস ভবন ঊর্ধ্বমুখী সমপ্রসারণ করে সিআইডি অফিস, শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ, মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ-একটি, মহম্মদপুর থানাধীন নহাটা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নির্মাণ-একটি, পুলিশ লাইনের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলা নির্মাণ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ একটি, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মাগুরা সদর হাসপাতাল ভবন নির্মাণ, উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ একটি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ আটটি, পুলিশ বিভাগের জন্য হাইওয়ে আউটপোস্ট নির্মাণ একটি, (রামনগর) পুলিশ লাইনের মহিলা পুলিশ ব্যারাক ভবন নির্মাণ একটি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, মাগুরা, মাগুরা-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়ক পুনর্বাসন প্রকল্প একটি, মাগুরা-মহম্মদপুর-নহাটা-কালিশংকরপুর-লোহাগাড়া সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প একটি। মাগুরা জেলা উন্নয়নমূলক কাজ নিরলসভাবে, কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধ্যানি প্রতিবেদনের তালিকায় এক নম্বর স্থানে রয়েছেন অ্যাড সাইফুজ্জামান শিখর এমপি সংসদ সদস্য মাগুরা-১ আসন। অ্যাড সাইফুজ্জামান শিখর এমপি।

দ্বিতীয়ত. যে সকল কাজে এগিয়ে রয়েছেন মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান পিপিএম। সামপ্রতিক মাগুরা জেলাবাসীরা তাকে উপাধি দিয়েছেন, একজন সফল মানবিক পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান পিপিএম। মাগুরা জেলা পুলিশ জনগণের সেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান জাতি ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক/সামাজিক/অর্থনৈতিক শ্রেণিনির্বিশেষে প্রতিটি থানায় সকল নাগরিকের সমান আইনগত অধিকার লাভের সুযোগ করে নিরলসভাবে কাজ করছেন মাগুরা জেলা পুলিশ সুপারসহ মাগুরা জেলা পুলিশ।

দৈনন্দিন থানায় আগত সাহায্যপ্রার্থীদের আগে আসা ব্যক্তিকে আগে সেবা প্রদান করা হয় মাগুরা জেলা তে। থানায় সাহায্যপ্রার্থী সকল ব্যক্তিকে থানা পুলিশ সম্মান প্রদর্শন করেন এবং সম্মানসূচক সম্বোধন করে থাকেন। থানায় জিডি করতে আসা ব্যক্তির আবেদনকৃত বিষয়ে ডিউটি অফিসার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা এবং আবেদনের দ্বিতীয় কপিতে জিডি নম্বর, তারিখ এবং সংশ্লিষ্ট অফিসারের স্বাক্ষরিত সিলমোহরসহ তা আবেদনকারীকে প্রদান করে থাকেন।

বর্ণিত জিডি সংক্রান্ত বিষয়ে যথাশিগগির সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং গৃহীত ব্যবস্থা পুনরায় আবেদনকারীকে অবহিত করা হয়। থানায় মামলা করতে আসা ব্যক্তির মৌখিক/লিখিত বক্তব্য অফিসার ইনচার্জ কর্তৃক এজাহারভুক্ত করে এবং আগত ব্যক্তিকে মামলার নম্বর, তারিখ ও ধারা এবং তদন্তকারী অফিসারের নাম ও পদবি অবহিত করে তদন্তকারী অফিসার এজাহারকারীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

এবং তদন্ত সমাপ্ত হলে তাকে ফলাফল লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়ে থাকেন। থানায় মামলা করতে আসা কোনো ব্যক্তির মামলা অফিসার ইনচার্জ/থানার ডিউটি অফিসার এন্ট্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করলে তখন ওই বিষয়টির ওপর প্রতিকার চেয়ে নিম্নবর্ণিত নিয়মানুযায়ী আবেদন করার ব্যবস্থা রয়েছে এই থানায় মাগুরা সদর থানায়, ব্যবস্থা রয়েছে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) এর কাছে আবেদন করার।

তিনি যদি ওই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তাহলে ওই ব্যক্তি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করবেন। অতঃপর তিনিও যদি ওই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তাহলে ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ডিআইজির কাছে আবেদন করবেন। তারা কেউ ওই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে ওই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করার সুযোগ। মহিলা আসামি/ভিকটিমকে যথাসম্ভব মহিলা পুলিশের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।

স্থায়ী সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্ট /ভেরিফিকেশন/আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইত্যাদি বিষয়ে সকল অনুসন্ধান প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে থানা হতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটে প্রতিবেদন প্রেরণ। থানা হতে বর্ণিত আইনগত সহোযগিতা না পাওয়া গেলে বা কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দাখিল করার সুযোগ।

সেক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং তা অভিযোগকারীকে অবহিত করবেন। মাগুরা সকল থানার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এএসপি (সদর/সার্কেল) এবং থানার অফিসার ইনচার্জের টেলিফোন নম্বর থানায় প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শিত ইতোমধ্যে করা হয়েছে। জেলায় কতব্যরত সকল পর্যায়ের অফিসাররা প্রতি কার্যদিবসে নির্ধারিত সময়ে সকল সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য প্রদান করে চলছেন।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়মিত কমিউনিটির সাথে অপরাধ দমনমূলক জনসংযোগমূলক সভা করেন এবং সামাজিক সমস্যাসমূহের আইনগত সমাধানের প্রয়াসের দিকে লক্ষ রেখেছেন। আর এ সকল বিষয় সরাসরি নিজে দায়িত্বভার কাঁধে তুলেছেন এসপি খান মোহাম্মদ রেজওয়ান পিপিএম।

সামপ্রতিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মতো সময়ে ও তিনি জনমানসের পটভূমিতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিদর্শনায় পরিচালনা করতে সফল হয়েছেন। যার ফলে উপাধিতে ভূষিত করা হয় জনতার পুলিশ মাগুরার পুলিশ।

পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান পিপিএম বলেন, এই জন পদ এখন আর অভয়ারণ্য নয়, মানুষ এখন নিরাপদে চলতে ফিরতে পারে। তৃতীয় স্তরে যিনি রয়েছেন তিনি হলেন মরহুম আলতাফ হোসেনের ছেলে খুরশিদ হায়দার টুটুল। সর্বসাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিত জনপ্রতিনিধি। পৌরসভা দেশের শহরাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একটি একক মাধ্যম। শহররে সবরকম প্রশাসনিক কার্যক্রম এখান থেকে শুরু হয়।

আর  ‘মেয়র’ হলো কোনো শহর বা কোনো প্রাদেশিক জেলার সর্বোচ্চ পৌর সরকারের অফিসার। অনেক পৌরসভায় পরিচালনাতে একজন মেয়র থাকেন প্রধান কার্যনির্বাহক হিসেবে। অফিসার অফিসিয়াল দায়িত্ব, আর সেই দায়িত্বে রয়েছেন জননেতা মরহুম আলতাফ হোসেনের ছেলে খুরশিদ হায়দার টুটুল রয়েছেন সর্ব মানুষের জন্য নিবেদিত একটি প্রাণ হয়ে।

পৌরসভার উন্নয়নে ৩০ জুন পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এ বাজেট ঘোষণা করেন পৌরমেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব খাতে আয় দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, মোট উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরি তিন কোটি টাকা এবং মোট প্রকল্প খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৮৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। যা ছিলো বিগত দিনের পৌরসভার মেয়র পদে থাকা দের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে।

অপর দিকে দেশের সর্বদিক বিবেচনা করে মাগুরায় , মোট রাজস্ব খাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার টাকা, মোট রাজস্ব খাতে উন্নয়ন ব্যয় ৫১ লাখ ১০ হাজার টাকা, মোট উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরি খাতে ব্যয় তিন কোটি টাকা এবং মোট প্রকল্প খাতে আয়ের সমপরিমাণ ৮৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সার্বিক উদ্বৃত্ত বাজেট দেখানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

অন্যভাবে বলা যায়, পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যালিটি বাংলাদেশের শহরাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একটি একক। একটি শহরাঞ্চলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো নিয়ে সভা, আলোচনা, মিটিং এবং সিদ্ধান্ত প্রণীত হয় এই পৌরসভায়। মোট ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের মাধ্যমে পরিচালনা করা আছে। হোল্ডিং সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৩৩টি মোট জনসংখ্যা এক লাখ ১৪ হাজার ৫৪ জন (৩১ জানুয়ারি/২০১২ ইং পর্যন্ত)।

জনসাধারণের জন্য সড়ক বাতির সংখ্যা এখন তিন হাজারটি। সড়ক বাতির বৈদ্যুতিক লাইন  ৪২.০০ কি.মি এনার্জি বাল্ব তিন হাজারটি, হাটবাজার দৈনিক বাজার পাঁচটি, পৌর মার্কেট ১২টি, দোকান ঘরের সংখ্যা ৩৯৭টি, হাসপাতাল আধুনিক সদর হাসপাতাল একটি, টিবি ক্লিনিক একটি, মাতৃসদন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নার্সিং ইনস্টিটিউট বেসরকারি হাসপাতাল ১৮টি, শিশু হাসপাতাল একটি, চক্ষু হাসপাতাল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কলেজ চারটি (সরকারি দুটি), পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট কলেজ একটি (সরকারি) ভোকেশনাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট একটি (সরকারি), মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ১৪টি (দুুটি সরকারি) প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি ১৩টি, মহিলা কলেজ  একটি, বালিকা বিদ্যালয় একটি বেসরকারি, রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় সাতটি, হাফেজিয়া মাদ্রাসা পাঁচটি, আলিয়া মাদ্রাসা একটি, কিন্ডারগার্ডেন ২০টি, এতিম খানা একটি, মসজিদ  ৬৭টি, মন্দির ১০টি, গির্জা একটি।

যোগাযোগ ব্যবস্থা : পাকা রাস্তা ১২২.৩৫ কি.মি, এইচ বিবি ৩৫.৪৫ কি.মি. বিএফএস ৫০.০০ কি.মি, কাঁচা রাস্তা ৪৯.৪৫ কি.মি, ব্রিজ সাতটি, কালভার্ট ৬২টি।

পানি সরবরাহ : পাম্প ৯টি হস্তচালিত নলকূপ, এক হাজার ১৮০টি হাউস কানেকশন তিন হাজার ৫৬৫টি, পাবলিক টয়লেট  আটটি, পৌরভবন একটি। তফশিলভূক্ত ব্যাংক পাঁচটি, ক্লাব তিনটি। আরো রয়েছে খাদ্যগুদাম, ডাকঘর একটি, তিনি প্রতি দিন একাধিক জনবল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নিরলসভাবে কাজ করছেন। সাথে লোকাবল রয়েছেন প্রশাসনিক বিভাগ ৪১ জন, প্রকৌশল শাখা ৩১ জন, স্বাস্থ্য বিভাগ ১৭ জন, পানি সরবরাহ শাখা ৩৯ জন, মাস্টার রোল কর্মচারী ১১ জন, সুইপার ১১০ জন।

যানবাহন সংক্রান্ত : জিপ একটি, রোলার চারটি, গারবেজ ট্রাক তিনটি, মোটরসাইকেল দুটি। মাগুরা পৌরসভার শেষ হাল-নাগাদ করা হয়েছে ২০২০ অক্টোবর ২০১৫ সালে। মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার। এ ছাড়া মাগুরা জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে নিম্নোক্ত অফিস প্রশাসন। জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা জেলা পরিষদ জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কারাগার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শিক্ষা ও সংস্কৃতি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়। জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরো, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জেলা ক্রীড়া অফিস, মাগুরা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, প্রাইমারি টেনিং ইনিস্টিটিউট, পিটিআই স্বাস্থ্য ও পরিবেশ-বিষয়ক সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রকৌশল-বিষয়ক মাগুরা গণপূর্ত বিভাগ, মাগুরা সড়ক ও জনপথ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), পানি উন্নয়ন বোর্ড, মাগুরা বিদ্যুৎ সরবরাহ ওজোপাডিকো, মাগুরা।

এছাড়া উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, কৃষি ও খাদ্য-বিষয়ক, উপ পরিচালকের কার্যালয়, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, মাগুরা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর, পাট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, জেলা মার্কেটিং অফিস, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসারের কার্যালয়।

আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জেলা তথ্য অফিস জেলা কার্যালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর বিটিসিএল, মাগুরা, প্রধান ডাকঘর মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা সমবায় কার্যালয়।

আমারসংবাদ/এসটিএম