Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

ছোট জঙ্গিদের আনাগোনা বেশি আস্তানা গ্রামে

জাহিদুল ইসলাম শিহাব॥প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাই ৪, ২০১৭, ০৬:৩৭ এএম


ছোট জঙ্গিদের আনাগোনা বেশি আস্তানা গ্রামে

পুলিশের খাতায় দাগি জঙ্গি বড়জোর ৫ জন। এরমধ্যে তিনজনের নামও জানতে পেরেছে তারা। কিন্তু অবস্থান এখনও জানতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে দেশে বড় জঙ্গি না থাকলেও ছোট জঙ্গি আছে। এসব জঙ্গি নতুন নেতৃত্বে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে এবং ঢাকা ছেড়ে গ্রামাঞ্চলেই বেশি আস্তানা গাড়ছে। সাম্প্রতিককালে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বেশ কয়েকটি অভিযানে তাই দেখা গেছে। এসব জঙ্গির বড় হামলা চালানোর ক্ষমতা কম।

তবে হলি আর্টিজান হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত যে ৫ জনকে বড় জঙ্গি বলে মনে করা হচ্ছে, তারা যদি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি পায় তাহলে দেশে জঙ্গিহামলা হওয়ার শঙ্কা দেখা দেবে। তবে এ জঙ্গিদের ধরতে বিশেষ নজর রাখছে পুলিশ। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বড় ধরনের জঙ্গিহামলার আশঙ্কা তারা দেখছেন না। যদি কখনও এমন হামলার পরিকল্পনা আঁচ করতে পারেন তাহলে অতীতের মতো শক্ত হাতে তা প্রতিরোধ করবেন। বাস্তবেও তাই দেখা যাচ্ছে। যেখানে জঙ্গি সেখানেই হাজির কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে ইউনিটটি। আর তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একের পর পর জঙ্গি প্রতিরোধে যেখানে ব্যর্থ সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে।

দেশে ১৯টি অভিযান চালায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সফলভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে তারা। বহির্বিশ্বের তুলনায় দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একের পর এক জঙ্গিহামলায় বিশ্ব যখন অস্থিরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, ঠিক সে সময় বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রশংসা করেছে ইন্টারপোল। জানা গেছে জঙ্গি দমনে তিনভাবে কাজ করা হচ্ছে। এগুলো হলো ইন্টেলিজেন, প্রতিরোধ ও অপারেশন। আর জঙ্গিহামলার বিষয়গুলোও তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম-এর বিশেষ ইউনিট।

দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পর গুলশান হলি আর্টিজান বেকারি ও কল্যাণপুরের ঘটনার পর থেকে জঙ্গিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম। জঙ্গি প্রতিরোধ করার জন্য রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠন, মসজিদ-মাদ্রাসার উপরও ছিল আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর। ফলে দেশে জঙ্গি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম।