Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সুধীজনের তালিকা তৈরি করছে ইসি

তবিবুর রহমান॥প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাই ৮, ২০১৭, ০৬:৩২ এএম


সুধীজনের তালিকা তৈরি করছে ইসি

সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া ‘বর্জনের নির্বাচন’ আর না করার বিষয়ে সিন্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সবাইকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। এ লক্ষে আগামী ৩০ জুলাই দেশে বিশিষ্টজনের সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসি। থাকছে উন্মুক্ত মত প্রকাশের সুযোগ। সংলাপের জন্য ইতোমধ্যে সুধীজনের একটি তালিকা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন ইসি। তালিকায় দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। আগামী সপ্তাহে কমিশন সভায় আমন্ত্রিতদের সংখ্যা ও নাম চূড়ান্ত হবে।

এর পরই তাদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কাজ শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, সুধীজনের একটি তালিকা তৈরি করছে ইসি। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক বিচারপতি আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এসএমএ ফায়েজ, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, এম হাফিজউদ্দিন খান, ড. আকবর আলী খান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আবাধ সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণমূলুক নির্বাচন আয়োজন করতে সুধীজনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ জুলাই। সংলাপে কাদের কাদের দাওয়াত দেওয়া হবে সে ব্যাপারে ইসি সচিবালয়ের ওপর দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। তিনি বলেন, আগে যাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, সেই অনুযায়ী তালিকা নির্ধারণ করা হবে। তবে কিছু সংযোজন-বিয়োজন থাকবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। সুশীলসমাজের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করার বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংলাপে যেসব পয়েন্ট বা বিষয় থাকবে, তার বাইরেও সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা উন্মুক্ত মত দিতে পারবেন। আমরা উন্মুক্ত ও উদারভাবে এসব মতামত নেব।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, যে ১০টি বিষয়ের ওপর সুশীলসমাজের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মতামত চাইবে ইসি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা সংশোধন; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, বিদ্যমান ইংরেজি আইনটি বাংলায় রূপান্তর ও এর প্রয়োজনীয় ধারা সংশোধন; নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, বিদ্যমান ইংরেজি আইনটি বাংলায় রূপান্তর ও প্রয়োজনীয় সংশোধন; প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত ও সহজীকরণ; মার্কা ছাড়া ব্যালট পেপার প্রবর্তন (আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নয়) নির্বাচনি দায়িত্বে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া; প্রার্থীদের মনোনীত পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তা; ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব ও ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও ভূমিকা।