তবিবুর রহমান॥প্রিন্ট সংস্করণ
আগস্ট ১৪, ২০১৭, ০৫:১৬ এএম
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মপরিকল্পনায় সবার অংশগ্রহণমূলক ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। আমার সংবাদ-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন কমিশন সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতে অবিরাম কাজ করে চলছে।
এর ধারাবাহিতকায় সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের সাথে ইতোমধ্যে সংলাপ শেষ করেছে। আগামী ১৬ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপে বসবে। এছাড়া পবিত্র ঈদুল আযহার আগেই দেশের ৬ রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ শেষ করতে চায় ইসি। ঈদের পরে বাকি দলগুলোর সাথে সংলাপ শেষ করে তাদের দেয়া মতামতের উপর ভিত্তি করে সরকারের সাথে সমঝোতা করবে কমিশন।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে একমিশন কি করবে এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, এটা তো অনেক পরের বিষয়। এখন এবিষয়ে কথা বলে লাভ কি। এছাড়া এ বিষয়ে ভালোভাবে মতামত দিতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আমার মতামত দেওয়ার কিছু আছে বলে মনে করছি না। তবে আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ. সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কাজ করা হচ্ছে। আশা করি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা যে কিছু করছি তার সমালোচনা না করলে মনে হবে আমরা বিপন্ন হয়ে গেছি। আমি সব সমালোচনাকেই স্বাগত জানাই। কারণ সমালোচনা হলো সাহায্যকারী। কোনো ভুল থাকলে শোধরানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। তবে বড় দুই রাজনৈতিক দলের তালিকায় তার সিইসির (নুরুল হুদা) নাম ছিল না। এদিকে কমিশনার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদারের নাম ছিল বিএনপির তালিকায়। মাহবুব তালুকদার লেখালেখির সঙ্গে জড়িত আছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের সময় কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, এটি একটি দায়িত্বশীল কাজ। আমি আমার বিবেককে জাগ্রত রেখে দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যথাযথভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করব। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭টি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে আগামী দেড় বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হলেও তফসিল ঘোষণার পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির অধীনে প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কাজের তদারকি শুরু হবে। তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনি আইন-বিধি অনুযায়ী কাজ শুরু হবে।